পুরাতন মালদহের হিমঘরে বাছাই করা হচ্ছে আলু। নিজস্ব চিত্র
ভিন্ রাজ্যে পাড়ি দিচ্ছে মালদহের ‘পোখরাজ’। আর মালদহের বাজারে আসছে ভিন্ জেলার ‘জ্যোতি’। তার জেরে পোখরাজের জেলায় চড়া দামে বিকোচ্ছে জ্যোতি আলু। খুচরো বাজারে চড়া দামে বিক্রি হলেও হিমঘরগুলিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে আলু মজুত রয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের কর্তাদের। তাঁদের বক্তব্য, “পুজোর মরসুম পর্যন্ত আলু মজুত রয়েছে জেলার হিমঘরগুলিতে।” কিন্তু বাজারে চড়া দামে আলু বিক্রি হওয়ায় উঠছে প্রশ্ন। এমন অবস্থায় বাজারের পাশাপাশি হিমঘরগুলিতেও হানা দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন প্রশাসনের কর্তারা।
আনাজের মতো আলুর দামেও হাত পুড়ছে জেলার মানুষের। তাঁদের দাবি, সপ্তাহ তিনেক ধরে খুচরো বাজারে আলু কেজি প্রতি ৩০ থেকে ৩৫ টাকা দামে বিকোচ্ছে। গত পাঁচ বছরের আলুর দাম এ বারই কেজি প্রতি ৩০ টাকা ছাড়িয়েছে। আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে বাজারে বাজারে ঘুরতে শুরু করেছেন জেলা প্রশাসনের কর্তারা। আর অভিযানে নামতেই সামনে আসছে কালোবাজারির অভিযোগ।
পুরাতন মালদহ, গাজল, সামসি, হবিবপুর ব্লকগুলিতে জেলার মধ্যে সব থেকে বেশি আলু উৎপাদন হয়। কৃষি দফতরের দাবি, মালদহে পোখরাজ আলু বেশি উৎপাদিত হয়। সামান্য পরিমাণে জ্যোতি আলুরও চাষ হয়। তবে জেলার বাজারে চাহিদা বেশি জ্যোতি আলুর। মালদহের পোখরাজ আলু রফতানি করা হয় ঝাড়খণ্ড, বিহারে। আর বর্ধমান, ধূপগুড়ি থেকে জ্যোতি আলু আসে জেলায়। বর্ধমান, ধূপগুড়িতেও জ্যোতি আলুর দাম চড়া। যার প্রভাব পড়েছে জেলার বাজারে।
তবে ক্রেতাদের একাংশের অভিযোগ, জ্যোতি আলুর নামে কয়েক জন ব্যবসায়ী পোখরাজ আলু বিক্রি করছেন চড়া দামে। পাইকারি ব্যবসায়ীদের একাংশের দাবি, বর্ধমানে ৫০ কেজি জ্যোতি আলু ১৩৫০ টাকা দর। গাড়ি ভাড়া দিয়ে দাম পড়ছে ১৪১০ টাকা। খুচরো ব্যবসায়ীদের তা ১৪২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। মালদহের অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) অর্ণব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আলু নিয়ে বাজারে প্রশাসনিক অভিযান শুরু হয়েছে। হিমঘরগুলিতেও অভিযান চালানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy