Advertisement
E-Paper

প্রতিবন্ধী সন্তান জন্মানোয় মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী মা, সেই শিশুকে খুন করে আত্মহত্যা করলেন বাবা-ও!

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় সাত মাস আগে দীপক রায় এবং দীপা রায় নামে এক দম্পতির কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ওই সন্তানটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। এই কথা জানতে পারার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা-মা।

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২৫ ২১:৪১

—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।

বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন মা। পরিবারের দাবি, সেই কারণে মাস তিনেক আগে আত্মঘাতী হয়েছিলেন যুবতী। মঙ্গলবার সকালে সেই প্রতিবন্ধী সন্তানকে খুন করে আত্মহত্যা করেলেন বাবা-ও। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি ব্লকের শিঙ্গিমারি সংলগ্ন বুড়ির বাড়ির ঘটনা।

স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায় সাত মাস আগে দীপক রায় এবং দীপা রায় নামে এক দম্পতির কন্যাসন্তানের জন্ম হয়। ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে ওই সন্তানটি বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন। এই কথা জানতে পারার পর থেকে দুশ্চিন্তায় ছিলেন বাবা-মা। পরিবারের দাবি, সন্তানের শারীরিক অবস্থার কথা জানতে পেরে মানসিক অবসাদের শিকার হন দম্পতি।

মাস তিনেক আগে আত্মঘাতী হন শিশটির মা দীপা। ওই ঘটনায় ভেঙে পড়েন স্বামী। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সন্তান তাঁর কাছেই ছিল। তিনিই দেখভাল করতেন শিশুটির। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে বাড়ির লোকের অনেক ডাকাডাকিতেও ঘরের দরজা খোলেননি দীপক। শেষমেশ পরিবারের লোকজন দরজা ভেঙে ঘরে ঢোকেন। দেখা যায়, দীপকের ঝুলন্ত দেহ এবং পাশে পড়ে রয়েছে নিথর শিশু।

এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় ময়নাগুড়ি থানার পুলিশ। দুপুরে দেহ দুটি উদ্ধার করে নিয়ে যায় তারা। মৃতের পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরিবার সূত্রে খবর, স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন সন্তানকে নিয়ে যথেষ্ট দুশ্চিন্তায় ছিলেন দীপক। কে সন্তানকে দেখভাল করবেন, এ নিয়ে চিন্তা করতেন দীপক। তা ছাড়া স্ত্রীর মৃত্যু মানতে পারেননি তিনি। সেই কারণে সন্তানকে মেরে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি পরিবারের। এমন ঘটনায় শোকস্তব্ধ এলাকা। পুলিশ জানিয়েছে, মৃতদেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত চলছে।

Deaths Suicide Case Crime Jalpaiguri
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy