কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে মূখ্যমন্ত্রীর সভাস্থল তৈরির কাজকর্ম ঘুরে দেখছেন মেয়র গৌতম দেব। ছবি: বিনোদ দাস।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরবঙ্গ সফরের আগে, ‘কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজ়েশন’ (কেএলও) নিয়ে পুলিশকর্তাদের সতর্কবার্তা দিলেন রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান মনোজ বর্মা। সোমবার তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও কার্শিয়াঙে এসেছেন। মমতা এবং অভিষেকের আগামী কয়েক দিন উত্তরবঙ্গে থাকার কথা। আজ, বুধবার দুপুরে মুখ্যমন্ত্রীর শিলিগুড়ি আসার কথা। বাগডোগরা বিমানবন্দর থেকে তিনি কার্শিয়াংয়ে যাবেন বলে খবর। দু’দিন পারিবারিক অনুষ্ঠান ছাড়াও মুখ্যমন্ত্রীর দার্জিলিং, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগু়ড়িতে একাধিক অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা রয়েছে। তার আগে, গত ১ ডিসেম্বর রাজ্যের গোয়েন্দা প্রধান উত্তরের জেলার পুলিশ সুপার, শিলিগুড়ির পুলিশ কমিশনার-সহ উচ্চ পর্যায়ের অফিসারদের বিশেষ ভাবে নজরদারির নির্দেশ দিয়েছেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে নির্দেশের প্রথমেই কেএলও নিয়ে ‘উদ্বেগ’ প্রকাশ করা হয়েছে। জানানো হয়েছে, কেএলও-র সঙ্গে উত্তর পূর্বাঞ্চলের ‘এনডিএফবি’, ‘এনএসসিএন’-এর মতো সংগঠন রয়েছে। নিরাপত্তার দিক থেকে যা অত্যন্ত চিন্তার। তার উপরে সম্প্রতি কেএলও-র লোকজন সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিয়ো এবং অডিয়ো বার্তা ছাড়ছে। তা ছড়িয়ে পড়ছে। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিও সরাসরি হুমকি রয়েছে। বিষয়টি মাখায় রেখেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আঁটোসাটো রাখার কথা বলা হয়েছে। রাজ্য পুলিশের উত্তরবঙ্গের এক শীর্ষ আধিকারিক বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর সফর ঘিরে সতর্কবার্তা সব সময় জারি থাকে। যাবতীয় বন্দোবস্ত করা হয়েছে।’’
গত মাসে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি দিয়েছিল শান্তি আলোচনার বিরোধী কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন (কামতাপুর ন্যাশনালিস্ট) বা কেএলও (কেএন) গোষ্ঠী। সংগঠনের মুখ্য আহ্বায়ক দাওসার লাংহাম কোচ বা ডিএল কোচ লিখিত বিবৃতি দিয়ে হুমকি দেন। বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রস্তাবিত পশ্চিম কামতাপুর বা উত্তরবঙ্গের ব্যবসায়ীর সংস্থাগুলি সংগঠনকে আর্থিক এবং নৈতিক সমর্থন না করলে বিপদ হবে। বিভিন্ন প্রান্তে বোমা, বিস্ফোরক পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। তার পরে, নতুন করে কেএলও নিয়ে পুলিশের নজরদারি বেড়েছে।
মুখ্যমন্ত্রীর ৬-৭ ডিসেম্বর পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কথা। ৮ ডিসেম্বর কার্শিয়াঙে সরকারি সুবিধা বিলির সভা করতে পারেন। ৯ ডিসেম্বর বাগডোগরা থেকে আকাশপথে হাসিমারা যাওয়ার কথা। রাতে আলিপুরদুয়ারে থাকার কথা। অনুষ্ঠান করে রাতে সেখানে থেকে পরের দিন জলপাইগুড়ির বানারহাটে যাওয়ার কথা। তার পরে শিলিগুড়ি ফিরে সভা করে কলকাতা ফেরার কথা ১২ ডিসেম্বর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy