কাজ করছেন নিতু ও মুন্নিরা। আলিপুরদুয়ারে। নিজস্ব চিত্র।
একশো দিনের কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম আলিপুরদুয়ার জেলা। সোমবার এমনটাই জানালেন জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা। জেলা প্রশাসনের দাবি, চলতি আর্থিক বছরে একশো দিনের কাজের যে লক্ষ্যমাত্রা ঠিক করা হয়েছিল, তা ইতিমধ্যেই ছাপিয়ে গিয়েছে জেলা। জেলায় এখনও পর্যন্ত ১১৫.৪৭ শতাংশ শ্রম বা কর্মদিবস প্রদান করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সম্প্রতি জেলার একশো দিনের কাজের একাধিক প্রকল্প খতিয়ে দেখতে জেলায় এসেছিলেন কেন্দ্রীয় দল। এ বিষয়ে জেলা শাসক সুরেন্দ্র কুমার মিনা বলেছিলেন, কেন্দ্রীয়। দল সব কাজ খতিয়ে দেখছেন এবং তারা সন্তুষ্ট।
এর পরই সোমবার একশো দিনের কাজ দেওয়ায় আলিপুরদুয়ার জেলার নাম রাজ্যে প্রথম হিসেবে ঘোষণা হওয়ায় খুশি জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও শ্রমিকেরা। একশো দিনের কাজে যুক্ত প্রবীণ শ্রমিক নিতু সরকার বলেন, ‘‘এই কাজ থাকায় আমার অনেক সুবিধা হয়েছে। বিশেষ করে এই করোনাকালে কিছু করে খেতে পারছি, না হলে আমাদের তো কোনও রোজগারের মাধ্যম নেই।’’ মহিলা শ্রমিক মুন্নি মাহাতোও বলেন, ‘‘এই কাজ পাওয়ায় বিশেষ করে মহিলাদের খুব সুবিধা হয়েছে। আমরা একটা হাতখরচ পাচ্ছি, যার ফলে সংসার চালাতেও সুবিধা হচ্ছে।’’
এই একশো দিনের কাজে আলিপুরদুয়ার জেলায় প্রথম কালচিনি ব্লক। সেখানে চলতি বছরে ২৭ লক্ষ ৮৫ হাজার ২০২ কর্ম দিবস প্রদান করা হয়েছে। এ বিষয়ে কালচিনি বিডিও প্রশান্ত বর্মন বলেন, ‘‘আমরা চেষ্টা করি আমাদের ব্লকের যাঁর যাঁর কাছে জবকার্ড আছে তাঁরা সকলে যেন কাজ পান। এ ছাড়াও ব্লক প্রশাসন ও গ্রাম পঞ্চায়েতে আমরা সকলে শ্রমদিন বাড়ানোর দিকে নজর দিই। সেই কারণেই আমাদের ব্লকের সাফল্য।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy