(বাঁ-দিকে) বাম-কংগ্রেস জোট প্রার্থী ঈশ্বরচন্দ্র রায়ের হয়ে প্রচারে অধীর চৌধুরী, মহম্মদ সেলিম, মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়। ধূপগুড়ির ডাক বাংলো মাঠে। ছবি: দীপঙ্কর ঘটক
প্রচারের শেষ মুহূর্তে জোরালো হল ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার দাবি। শুক্রবার সন্ধ্যাবেলা আধঘণ্টা নিষ্প্রদীপ থাকল ধূপগুড়ি। মহকুমা চেয়ে এ দিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে আধ ঘণ্টা আলো নিভিয়ে মোম জ্বালানোর ডাক দেওয়া হয়েছিল। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে মোম-প্রদীপের আলোয় ভরল শহর। ভোট প্রচার শেষ হচ্ছে আগামী কাল, রবিবার। তার আগে শুক্রবার ধূপগুড়িকে নিষ্প্রদীপ রাখার ডাকে স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া মেলায় ভোট মাপছে রাজনৈতিক দলগুলিও।
ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণার দাবি দীর্ঘদিনের। গত বিধানসভা ভোটের আগে প্রচারে এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও আশ্বাস দিয়েছিলেন। এ বার উপনির্বাচনের আগে ফের সেই দাবি ওঠায় তৃণমূলকে কি অস্বস্তিতে পড়তে হবে, তা নিয়েও চর্চা চলছে। এ দিন তৃণমূলের তরফে প্রকাশ করা ভোট ইস্তাহারেও ধূপগুড়িকে মহকুমা ঘোষণা করার আশ্বাস রয়েছে। বিজেপি এবং বামেদের তরফেও মহকুমা ঘোষণার দাবিতে ভোট চাওয়া হচ্ছে। তবে সেই আশ্বাস কতটা ফলপ্রসূ হবে সাধারণ মানুষ তা নিয়েও ধন্ধে রয়েছে।
এ দিন ধূপগুড়িতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর যৌথ সভা ছিল। সভামঞ্চ থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, “ধুপগুড়ি মহকুমা হবে সেটা ঠিক করবে ধুপগুড়ির মানুষ।“ নাগরিক মঞ্চের দাবি, মহকুমা গঠন হলে স্বাস্থ্য শিক্ষা থেকে শুরু করে অর্থনীতি— একাধিক বিষয়ে পরিবর্তন হবে। দাবি আদায় না হলে আগামী দিনে বৃহত্তর আন্দোলনের ডাক দেওয়া হয়েছে নাগরিক মঞ্চের তরফ থেকে। নাগরিক মঞ্চের তরফে অনিরুদ্ধ দাসগুপ্ত বলেন, “ভুটান সীমান্ত থেকে শুরু করে ধূপগুড়ি ব্লকের শেষ প্রান্ত জলঢাকা নদী পর্যন্ত এই বিস্তীর্ণ এলাকা নিয়ে ধূপগুড়ি মহকুমা গঠন করার দাবি তোলা হয়েছে। ভৌগলিক, অর্থনৈতিক সমস্ত দিক থেকে বিবেচনা করলে ধূপগুড়ি মহকুমা হওয়ার যোগ্য।“
বিজেপির হয়ে এ দিনও প্রচার চালিয়েছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “আমাদের বিধায়ক জয়ী হয়েই বিধানসভায় মহকুমার দাবিতে সোচ্চার হবে। আমরা সর্বশক্তি দিয়ে মহকুমা আদায় করব।” আজ শনিবার ধূপগুড়িতে সভা করতে আসবেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ধূপগুড়ি ব্লকের সাঁকোয়াঝোড়া দুই নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতে এই সভা হবে। নির্বাচনী সভা থেকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ধূপগুড়ির জন্য কী বার্তা দেন, সেই দিকেই তাকিয়ে তৃণমূলে নীচু তলার কর্মীরাও। তৃণমূলের আশা, মহকুমা নিয়ে অভিষেক কোনও স্পষ্ট বার্তা তথা আশ্বাস দিতে পারেন। অভিষেকের বক্তব্যে মহকুমা নিয়ে কোনও ঘোষণা থাকলে তৃণমূলকে বাড়তি সুবিধা দেবে বলেই রাজনৈতিক শিবিরের দাবি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy