উৎসবের সকালে বিষণ্ণতা গ্রাস করল গোটা আদিবাসী গ্রামটাকে। গ্রামের একটি বাঁশঝাড় থেকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে ছয় বছরের এক শিশুকে। রাতে মায়ের কাছে ঘুমিয়ে ছিল শিশুটি। তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে এক দুষ্কৃতী।
সোমবার গভীর রাতে শামুকতলা থানার আদিবাসী মহল্লা পটটোলায় এই ঘটনা জানাজানি হতেই হইচই পড়ে যায়। রাতেই শিশুটিকে প্রথমে শামুকতলা প্রাথমিক হাসপাতাল ও পরে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। খবর পেয়েই শামুকতলা থানার ওসি এলপি ভূটিয়া ওই গ্রামে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন। ওই শিশুটিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অভিযুক্তের চেহারার বিবরণ নিয়েছে পুলিশ। এমন ঘটনায় গোটা গ্রামের মানুষ স্তম্ভিত। গ্রামবাসীদের অভিযোগ, গ্রামেরই কোনও দুষ্কৃতী এই কাজ করেছে। দ্রুত অভিযুক্তকে চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে তারা। তৃণমূলের আলিপুরদুয়ার জেলা কমিটির সদস্য ভোলা বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা চাই পুলিশ দ্রুত অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করুক।’’
শামুকতলা থানার ওসি, এলপি ভূটিয়া জানিয়েছেন, শিশুটির চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ওই শিশুটির পরিবার অত্যন্তই দরিদ্র। বাবা চাষের কাজ করেন। তিনি জানান, রাতে একই ঘরে ওর মায়ের সঙ্গে খাটিয়ায় ঘুমিয়েছিল তার মেয়ে। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওর মা চিৎকার করে ডেকে বলে তার পাশে মেয়ে নেই। তিনি বলেন,‘‘বাড়ির পাশে ঝোপে টর্চ জ্বালিয়ে মেয়ের নাম ধরে চিৎকার করে ডাকতে থাকি। হঠাৎ দেখি কালো একটি ছায়া বাঁশ ঝোপের ভেতর থেকে ছুটে পালিয়ে গেল। ঝোপের ভিতর মেয়েকে পাই।’’