নদী থেকে উদ্ধার হাতির কাটা পা। —নিজস্ব চিত্র।
এ বার আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রামের অসম সীমানায় বারবিশার কাছে নিমাইটাপুরে সংকোশ নদী থেকে উদ্ধার করা হল হাতির কাটা পা। সোমবার। বন দফতর ওই পা ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে। বক্সার জঙ্গল এবং অসমের জঙ্গলের কাছে থাকা নিমাইটাপুর থেকে প্রায় দেড় কিলোমিটার দূরের কাঁঠালতলা এলাকা থেকে গত শুক্রবার একটি হাতির কাটা মাথা উদ্ধার করা হয়েছিল। রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, বন দফতরের শীর্ষ কর্তারা দাবি করেছিলেন, অসমের জঙ্গলে হাতি শিকারের পরে চোরাশিকারিরা সেটির দাঁত কেটে নিয়ে দেহের বাকি অংশ জলে ফেলে দেয়। বন দফতরের তরফে বক্সার জঙ্গল ও নদীতে তল্লাশি চালানো হয়। সোমবার নদী থেকে ফের হাতির পা উদ্ধার করা হল।
বন দফতর সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় কুমারগ্রাম ব্লকের নিমাইটাপুর এলাকায় সংকোশ নদী থেকে দুর্গন্ধ পান এলাকার বাসিন্দারা। তখনই তাঁরা নদীর তীরে হাতির পা দেখতে পান। বন দফতর ও পুলিশের সঙ্গে খবর পাঠানো হয়। বনকর্মীরা হাতির কাটা পা উদ্ধার করে নিয়ে যান। কয়েক দিন আগে, হাতির মাথা উদ্ধারের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে একটি মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ওই ঘটনায় বন কর্তারা দাবি করেছিলেন, এর সঙ্গে চোরাশিকারিদের যোগ থাকতে পারে। ঘটনাটি ঘটেছে অসমে। ওই ঘটনার কথা ‘ওয়াইল্ড লাইফ কন্ট্রোল বুরো’কে জানানোর পাশাপাশি, অসমের বন দফতরকে জানানো হয়।
বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের উপ-ক্ষেত্র অধিকর্তা দেবাশিস শর্মা বলেন, ‘‘নিমাইটাপুর এলাকায় সংকোশ নদী অসমের যে দিক থেকে এসেছে, সে দিক থেকেই এ দিন হাতির কাটা পা উদ্ধার করা হয়েছে। নদীতে নজরদারি চলছে। মঙ্গলবার থেকে তা আরও বাড়ানো হবে।’’
তিনি জানান, হাতির পা উদ্ধার করে ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। এর আগে উদ্ধার হওয়া মাথা এবং পা— দুটোরই নমুনা কলকাতায় পাঠানো হবে। পরীক্ষার পরে বোঝা যাবে দুটি দেহাংশ একই হাতির কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy