এক তরুণীকে ছুরি মারার অভিযোগে গ্রেফতার করা হল তাঁর প্রেমিককে। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের একটি এলাকায়। সোমবার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাঁর বাড়ি নদিয়ার একটি গ্রামে। সংশ্লিষ্ট থানার আই সি বলেন, ‘‘ধৃতের ব্যাগ থেকে রক্তমাখা ছুরি উদ্ধার হয়েছে। মঙ্গলবার ধৃতকে রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়েছে।’’
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নার্সের কাজ করেন উত্তর দিনাজপুরের ওই তরুণী। ওই হাসপাতালেই ওটি টেকনিশিয়ান অভিযুক্ত যুবক। বছরখানেক আগে দু’জনের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়। ধীরে ধীরে পরস্পরের বাড়িতে আসা-যাওয়াও শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছে পরিবার।
পরিবারের অভিযোগ, তরুণীকে ফোনে ব্যস্ত পেলেই সন্দেহের বশে অশান্তি শুরু করতেন ওই যুবক। অভিযোগ, এ নিয়ে কয়েক বার তরুণীকে গালিগালাজও করেন তিনি। পুজোর আগে বাড়ি ফিরে যুবকের ফোন নম্বর ব্লক করে দেন তরুণী। তিনি জানান, রবিবার বিকেলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন করে ওই যুবক তাঁকে বাড়ির কাছাকাছি রেল স্টেশনে দেখা করতে বলেন। তরুণীর অভিযোগ, তিনি কথা মতো দেখা করতে গেলে ওই যুবক তাঁর নম্বর ব্লক করা নিয়ে রাগারাগি করেন। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, সেই রাতে বেড়া ভেঙে তরুণীর বাড়িতে ঢুকে ছুরি নিয়ে তাঁর উপরে চড়াও হন ওই যুবক। মেয়ের চিৎকার শুনে মা-বাবা বেরিয়ে এলে পালিয়ে যান অভিযুক্ত। বুক, পিঠ, দুই হাত ও গলায় ক্ষত নিয়ে রাতেই তরুণীকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। বর্তমানে তিনি বিপন্মুক্ত বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।
তরুণীর মা বলেন, ‘‘সোমবার রাতে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।’’ রায়গঞ্জ জেলা আদালতের সরকারি আইনজীবী বলেন, ‘‘বিচারক ধৃতের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)