অনীত থাপা। — ফাইল চিত্র।
দার্জিলিং ও কালিম্পং পাহাড়ের ১০০ দিনের জন্য বকেয়া মেটাতে রাজ্যের তরফে প্রায় ১৩০ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করা হল। আর বরাদ্দের সরকারি নির্দেশিকা পেয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে নেমে পড়ল অনীত থাপার প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা।
রবিবার দলের তরফে এ নিয়ে পাহাড় জুড়ে প্রচার শুরু করা হয়েছে। তাতে বলা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারের বকেয়া টাকা রাজ্য সরকার মেটাচ্ছে। পাহাড়ে টাকা বন্ধের জন্য সাংসদ রাজু বিস্তা দায়ী বলেও অনীতদের অভিযোগ। আগামী কয়েকদিনে ১০০ দিনের কাজের টাকা বিলির সঙ্গে সঙ্গে শতাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে প্রচারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জিটিএ প্রধান তথা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সভাপতি অনীত থাপা বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ। পাহাড়ের মানুষের পাশে রাজ্য সরকার দাঁড়িয়েছে। গরিব মানুষ তাদের ঘাম ফেলে রোজগারের টাকা পাবে।’’
তিনি জানান, পাহাড়ের ক্ষেত্রে বিজেপি সাংসদও টাকা না দেওয়ার জন্য দায়ী। পাহাড়ের কাজ নিয়ে নানা কথা বলে তিনি কেন্দ্রকে টাকা বন্ধ রাখতে বলেছেন বলেও সংবাদমাধ্যমে বলেছিলেন।
প্রশাসনিক সূত্রের খবর, পাহাড়ের দুই জেলার জিটিএ এলাকায় মিলিয়ে ১২৯ কোটি ৪২ লক্ষ ৯০ হাজার টাকার মতো বরাদ্দ হয়েছে। ২০১৯ সালের পর থেকে এই টাকা বকেয়া হয়ে যায়। জেলার সমতলেও পরিস্থিতি এক ছিল। পাহাড়ের সঙ্গে একশো দিনের কাজের টাকা ঢুকেছে শিলিগুড়ি মহকুমাতেও।
আজ, সোমবার থেকে শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকবে। তার আগে অ্যাকাউন্ট এবং নথিপত্র যাচাইয়ের কাজ চলছে।
২০২০ সাল থেকে প্রায় দে়ড় বছর করোনা সংক্রমণের জন্য কাজ বন্ধ ছিল। তার পরে কিছু কাজ পাহাড়ে হলেও কয়েক হাজার শ্রমিক টাকা পাচ্ছিলেন না। ধীরে ধীরে ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হওয়ার মুখ এসে দাঁড়ায়। জিটিএ-র তরফে বেশ কয়েকবার তা রাজ্য সরকারের নজরে আনা হয়েছে।
এর মধ্যে গত বছর বিজেপি সাংসদ রাজু বিস্তা দাবি করেন, পাহাড়ে ১০০ দিনের কাজ সঠিক ভাবে হয়নি। তাঁর অভিযোগ ছিল, জবকার্ড থেকে কাজের ক্ষেত্রে অনিয়ম রয়েছে। তাই কেন্দ্রকে তাঁরা টাকা দিতে বারণ করেছেন।
বিষয়টি নিয়ে সাংসদ তদন্তের দাবিও তোলেন। তবে রাজ্য সরকার টাকা বরাদ্দের পর নতুন করে কোনও মন্তব্য করেননি সাংসদ। সময়মতো তিনি বক্তব্য জানাবেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy