স্বর্ণকারকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় ধৃত অভিযুক্তেরা কী ভাবে ওই ঘটনায় জড়িয়ে পড়ল, তা খতিয়ে দেখতে গিয়ে আরও দু’জনের ভূমিকা তদন্তে উঠে এসেছে। তাঁদের খোঁজে একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। তবে এখনও পর্যন্ত সরকারি ভাবে পুলিশ এ বিষয়ে কিছুই স্পষ্ট করেনি। এরই মধ্যে মঙ্গলবার রাতে কোচবিহার থেকে বিবেকানন্দ সরকার ওরফে সোনাই নামে এক জনকে ধরেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, এই ঘটনায় ওই ব্যক্তির উপস্থিতি ছিল, তেমন তথ্য তাদের হাতে এসেছে। এই খুনের ঘটনায় এ নিয়ে মোট চার জন গ্রেফতার হল।
পুলিশ সূত্রের খবর, ওই ঘটনায় আগেই ধৃত রাজু ঢালি, তুফান থাপা ও সজল সরকারের মোবাইলের কল তালিকা এবং আনুষঙ্গিক কিছু তথ্য হাতে এসেছে। তাদের মোবাইল টাওয়ারের অবস্থান নির্ণয়ের মাধ্যমে ঘটনার সময় ও আগে-পরে তাদের গতিবিধি সম্পর্কেও ধারণা করা গিয়েছে। ঘটনার আগে-পরে ওই তিন জন মোবাইলে কাদের সঙ্গে কথা বলেছে, সেই তথ্য মিলেছে। অভিযুক্তদের ফোন ফরেন্সিক পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় তৃণমূল নেতা সজলের ভূমিকা কতটা, তা-ও দেখা হচ্ছে।
স্বর্ণকার স্বপন কামিল্যাকে অপহরণ ও খুনের ঘটনায় জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণের নাম জড়িয়েছে। যদিও তাঁর ভূমিকা সম্পর্কে পুলিশ এখনও কোনও আলোকপাত করেনি। বিডিও-র ভূমিকা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। এই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজে যে দু’টি গাড়ি দেখা গিয়েছে, সে সম্পর্কে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। ধোঁয়াশা দূর করতে দু’টি গাড়ি ও সোনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানার চেষ্টা চলছে। ঘটনার ১৮ দিন পরেও রহস্যের জট পুরোপুরি খোলেনি। অভিযুক্ত বিডিও-র ভূমিকা কতটা, তা-ও স্পষ্ট করেনি পুলিশ। এই রহস্যের জট কবে খুলবে, সেই প্রশ্ন উঠেছে। পুলিশ সূত্রের দাবি, জোরকদমে তদন্ত চলছে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)