রমরমিয়ে: ওয়ার্ল্ড কাপ মিষ্টি। কোচবিহারে। নিজস্ব চিত্র
মেসি, রোনাল্ডো নাকি নেইমার, ঘরে ঘরে বিশ্বকাপের মাতামাতি। তার মধ্যেই আবার জামাইবাবাজিদের আপ্যায়ণের পালা। সব দিক ভেবে তাই এ বার বাজারে জামাইষষ্ঠী স্পেশাল ‘ওয়ার্ল্ড কাপ মিষ্টি’। জামাইয়ের পাতে বিশ্বকাপের স্বাদ এনে দিতে শাশুড়ি মায়েদের পছন্দের তালিকায় ওই মিষ্টি থাকবে বলে আশাবাদী বিক্রেতারা। জানালেন, ‘ওয়ার্ল্ডকাপ ট্রফি’র আদলেই মিষ্টি গড়া হয়েছে। দামে একটু বেশি হলেও মন কাড়তে জুরি মেলা ভার!
কোচবিহারের ভবানীগঞ্জ বাজারের এক মিষ্টি বিক্রেতা রাজু ঘোষ বললেন, “জামাইষষ্ঠী স্পেশাল প্রতি বছরই থাকে। বিশ্বকাপ চলছে, তাই এ বার ট্রফির আদলে মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে।” জানালেন, জামাইষষ্ঠীর একদিন আগে থেকেই ওই মিষ্টির বিক্রি শুরু হয়েছে জেনে অনেকেই কিনছেন। এক একটির দাম ২০০ টাকা। সঙ্গে স্যান্ডউইচ রসমালাইও এ বার নতুন। সেটির চাহিদাও তুঙ্গে। গ্রামেও সব প্যাকেট হয়ে চলে যাচ্ছে। দিনহাটার মিষ্টি ব্যবসায়ী সুরেন্দ্র রাঠী বলেন, “জামাইষষ্ঠী মানেই স্পেশাল মিষ্টি চাই। চাহিদা মেনেই তৈরি হয়।”
কোচবিহারে বরাবরই নানা রকম মিষ্টির চাহিদা। জামাইষষ্ঠীর দিন যা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাধারণত রসমালাই, রসকদম্ব, ক্ষীরদল, ল্যাংচা, রসগোল্লা, কাঁচাগোল্লা, ছানার লাড্ডু, আম সন্দেশের সমাহার মিলবেই দোকানে। তবে উৎসবে নতুন জিনিসের চাহিদা বাড়ে। সে কথা মাথায় রেখেই নতুন কিছু তৈরি হয় বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা। গত বছর বাজার দখল করেছিল ‘জামাই গোল্লা’। এ বার দখল নিয়েছে ‘ওয়ার্ল্ডকাপ মিষ্টি’।
ট্রফির আদলে ওয়ার্ল্ড কাপ মিষ্টি তৈরি ক্ষীর ও সন্দেশের পুরে। আকারেও বড়। এক মিষ্টি ব্যবসায়ীর কথায়, “খেলা দেখতে দেখতে এই বিরাট মিষ্টি খাওয়া যাবে।” নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শাশুড়ির কথায়, “এ বার প্রথম জামাইষষ্ঠী। জামাই তো মেসি মেসি করে পাগল। মেসি বিশ্বকাপ জিতবে কি না, তা তো সময়ই বলবে। তার আগে জামাইয়ের হাতেই না হয় ট্রফি তুলে দিই!”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy