দ্বীপখণ্ডা পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে ঘেরাও বাণেশ্বর-বাসীর। নিজস্ব চিত্র
প্রায় আট মাস বন্ধ ছিল। সম্প্রতি রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির ছাড়পত্র দিয়েছে কেন্দ্র। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, কেন্দ্রের নির্দেশে আগামী ৩১ মার্চ, অর্থাৎ, প্রায় চার মাসের মধ্যে ওই প্রকল্পে তালিকাভুক্ত উপভোক্তাদের দাবি যাচাই করে অযোগ্যদের বাদ দিতে হবে। উত্তর দিনাজপুর ও মালদহে ওই প্রকল্পে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষেরও বেশি উপভোক্তার নাম রয়েছে। ফলে, দ্রুত উপভোক্তাদের ঘরের দাবির সত্যতা যাচাই করতে তাঁদের বাড়ি গিয়ে সমীক্ষার জন্য দুই জেলার আশাকর্মীদের নিয়োগ শুরু করেছে প্রশাসন। আর তাতেই দুই জেলায় আশাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ চরমে উঠেছে।
আশাকর্মী সংগঠনের সদস্যেরা সোমবার উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের ব্লক অফিসে বিক্ষোভ দেখান। এর পরে সংগঠনের তরফে বিডিওর কাছে ওই প্রকল্পে সমীক্ষার কাজে তাঁদের নিয়োগ না করার লিখিত দাবি জানান। এ দিন মালদহের চাঁচল ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিককেও ঘেরাও করে বিক্ষোভও দেখান আশাকর্মীরা। উত্তর দিনাজপুরের জেলাশাসক অরবিন্দকুমার মিনা বলেন, “সরকারি নির্দেশ মেনেই জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে কাজ হবে।” চাঁচল ১ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক আখতার হোসেনের দাবি, “রাজ্য সরকারের নির্দেশে, আশাকর্মীদের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আশাকর্মীদের এই দাবি উপরমহলে জানিয়ে দেওয়া হবে। তাঁরাই উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।”
আশকর্মী সংগঠনের ইটাহার ব্লকের নেত্রী মনসুরা খাতুন ও চাঁচল ১ ব্লক সম্পাদিকা মেহেবুবা খাতুনের দাবি, আশাকর্মীরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়লে গ্রামে মহিলা ও শিশুদের চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার কাজ ব্যাহত হবে। আশাকর্মীদের অতিরিক্ত ‘ডিউটি’ হিসেবে সমীক্ষার কাজের জন্য রাজ্য সরকার আলাদা করে পারিশ্রমিক দেওয়ার কথা ঘোষণা করেনি। মনসুরা বলেন, “আবাস যোজনা প্রকল্পে অনেক বিত্তশালী ও পাকা বাড়ির মালিকদের নাম রয়েছে। ফলে, সে সব বাড়িতে সমীক্ষা করতে গেলে হেনস্থা ও হামলার মুখে পড়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই।” মেহেবুবার বক্তব্য, “প্রশাসন আশাকর্মীদের জোর করে স্বাস্থ্য দফতর বহির্ভূত কোনও কাজ করানোর চেষ্টা করলে, সংগঠনের তরফে উত্তরবঙ্গ তথা রাজ্য জুড়ে জোরদার আন্দোলন করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy