মাসিক ভাতা বৃদ্ধি,কাজের জন্য মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য দাবি নিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্ম বিরতি পালন। ছবি স্বরূপ সাহা।
কোথাও দিনভর অবস্থান-বিক্ষোভ, কোথাও মিছিল-পথসভা করে কর্মবিরতি-কর্মসূচি শুরু করলেন উত্তর দিনাজপুর ও মালদহের আশা কর্মীরা। দক্ষিণ দিনাজপুরে এ দিন আশা কর্মীরা সে ভাবে পথে নেমে আন্দোলন না করলেও, কর্মবিরতি শুরু করেছেন। তবে প্রসূতিদের হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরিষেবা চালু রেখেছেন আশা কর্মীরা।
আশা কর্মী ইউনিয়নের উত্তর দিনাজপুর জেলার সভানেত্রী মাধবীলতা পাল জানান, তাঁদের বেতনবৃদ্ধি, নিয়মিত ভাতা দেওয়া, বকেয়া মেটানো-সহ নানা দাবিতে রাজ্য জুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি শুরু হয়েছে। একই সঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘আশা কর্মীরা আন্দোলনের মধ্যেও গর্ভবতী-প্রসূতিদের হাসপাতাল-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছেন। কর্মবিরতিতেও সে পরিষেবা চালু থাকবে। তবে দাবিপূরণের সরকারি আশ্বাস না মেলা পর্যন্ত বাড়ি গিয়ে ওষুধ বা প্রতিষেধক দেওয়া বা সমীক্ষার মতো সমস্ত পরিষেবা বন্ধ থাকবে।’’
এ দিন রায়গঞ্জ শহরের ঘড়িমোড়ে অবস্থান-বিক্ষোভ করেন উত্তর দিনাজপুরের বিভিন্ন এলাকার আশা কর্মীরা। মালদহের ইংরেজবাজার শহরে মিছিল করা হয়। জেলার হবিবপুরের বুলবুলচণ্ডী গ্রামীণ হাসপাতালের সামনে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মিছিল ও পথসভা হয় বামনগোলা, গাজল, চাঁচলে।
আশা কর্মী ইউনিয়নের জেলা নেত্রী মেহবুবা খাতুন বলেন, ‘‘রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার আশা কর্মীদের বঞ্চনা করেছে। তারই প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন।’’ ইউনিয়নের দক্ষিণ দিনাজপুরের নেত্রী চন্দ্রা পাল বলেন, ‘‘প্রত্যন্ত এলাকায় আশা কর্মীরা গর্ভবতী মহিলাদের চিকিৎসা ও প্রসব-প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। অথচ, ভাতা বাড়ানো হচ্ছে না, স্থায়ীকরণও হচ্ছে না।’’
উত্তর দিনাজপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক পূরণকুমার শর্মা জানান, আশা কর্মীদের দাবিপূরণের বিষয়টি রাজ্য সরকারের এক্তিয়ারভুক্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy