অজয় কুমার।
এ দিন দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনটির সহকারী চালকের দায়িত্বে ছিলাম আমি। দীর্ঘ দিন হল ট্রেনের সহকারী চালক হিসেবে কাজ করছি। আমার কর্মজীবনে এই প্রথম এরকম দুর্ঘটনা দেখলাম।
আমার বাড়ি বিহারের কাটিহারে। সেখান থেকেই আজ সকালে কাজে যোগ দিয়েছিলাম। তখন এগারোটা বাজতে আর কিছুক্ষণ বাকি। ট্রেন তখন সবে চটেরহাট স্টেশন পার করেছে। তখন থেকেই হঠাৎ যেন খুব গরম লাগছিল। তারপর আস্তে আস্তে তা সহ্যের বাইরে চলে যাচ্ছিল। তারপর হঠাৎ একটু ধোঁয়া বের হতে দেখলাম। একমুহূর্তে বুঝতে পারলাম আগুন লেগে গিয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে চালককে জানালাম। তখন ট্রেনের গতিবেগ ঘণ্টায় প্রায় ৮০ কিলোমিটারের কাছাকাছি। কিছুক্ষণের মধ্যেই একটা জোরে ধাতব আওয়াজ পেয়ে আমরা বাইরে দেখতে এলাম ঠিক কী হয়েছে।
দেখলাম, আগুন ক্রমশ বাড়ছে। ততক্ষণে কেবিনের ভিতরে কালো ধোঁয়ায় ঢোকে গিয়েছে। আর মারাত্মক তাপ লাগছে গায়ে। কিছুই স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছিলাম না। তারপর কোনওরকমে গিয়ে হাতড়ে হাতড়ে ইঞ্জিনটি বন্ধ করতে পারলাম। আগুনের তাপে আমার হাতের খানিকটা জ্বলে গিয়েছে, ফোস্কা পড়েছে। পরে চিকিৎসকরা এসে আমার প্রাথমিক চিকিৎসা করেন। কাটিহারে ইঞ্জিন পরীক্ষার পরেই রওনা হয়েছিলাম। কীভাবে এরকম হল বুঝতে পারছি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy