চলতি সপ্তাহে দুই দফায়। গত দুই মাসে তিনবার। শিলিগুড়ি ও জলপাইগুড়ি শহর এবং লাগোয়া এলাকায় এটিএমে দুষ্কৃতী হানার পরপর ঘটনাকে ঘিরে ফের পুলিশি নজরদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। গত সোমবার সকালে জলপাইগুড়ির ডিবিসি রোড এবং শিলিগুড়ি শহরের সেবক রোড লাগোয়া বোতল কোম্পানি এলাকায় দু’টি এটিএম ভাঙা দেখতে পাওয়া যায়। পুলিশ তদন্তে নেমে জানায়, দু’টি এটিএমের মেশিন ভাঙা হলেও টাকার ভল্ট দুষ্কৃতীরা খুলতে পারেনি। দু’মাস আগে একইভাবে জলপাইগুড়ি শহর লাগোয়া ৭৩ মোড় এলাকায় এটিএম থেকে টাকা লুঠ হয়েছিল।
তাহলে কী লোকসভা ভোটের আগে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা ফের উত্তরবঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠেছে? উদ্বিগ্ন পুলিশ কর্তারা বিভিন্ন থানা এলাকায় ইতিমধ্যে নজরদারি, তল্লাশির নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার থেকে শিলিগুড়ি কমিশনারেট এবং জলপাইগুড়ির প্রতিটি থানাকে এটিএম নিয়ে সতর্ক বার্তা পাঠানো হয়েছে। উত্তরবঙ্গের এক পুলিশ কর্তা বলেন, ‘‘সন্ধের পরে জাতীয় সড়ক, রাজ্য সড়ক এবং জেলার বড় রাস্তার ফাঁকা এলাকার এটিএমগুলোয় বেশি নজর দিতে বলা হয়েছে।’’
পুলিশ সূত্রের খবর, গত দুই বছরে শিলিগুড়ি শহর ছাড়াও কোচবিহার, জলপাইগুড়িতে একাধিকবার এটিএম লুট বা লুটের চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। কয়েকটি ক্ষেত্রে রীতিমত টাকা তোলার মেশিনটি উপড়ে নিয়ে গিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। পুলিশের সঙ্গে তদন্তে নামে সিআইডিও। অসম-উত্তর পূর্বাঞ্চল ছাড়াও বিহার, ঝাড়খন্ডের কয়েকটি দলের হদিশ মেলে।
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
এরমধ্যে একটি দল উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় লাগোয়া এশিয়ান হাইওয়ের পাশে এটিএম লুটের চেষ্টা করার সময় পুলিশ এসে পড়ায় পালিয়ে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, ভোটের আগে ভিনরাজ্যের দুষ্কৃতীরা ফের সক্রিয় হয়েছে।
শিলিগুড়ি-জলপাইগুড়ির পেট্রোল পাম্পগুলোর নিরাপত্তা নিয়েও ভাবছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy