ভেঙেছে ঘর। —নিজস্ব চিত্র
কয়েকদিন আগেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের বনাধিকারিকদের সঙ্গে এক আলোচনায় বিরক্তির সুরে বলেছিলেন, হাতির হামলায় এত মানুষ মরছে কেন?
তার সঠিক উত্তর তিনি পাননি।
তখন বনাধিকারিকদের সাবধান করে বলেছিলেন, ‘‘এ বার থেকে যেন হাতির হামলায় মানুষের মৃত্যুর কথা না শুনি, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা নিন।’’
সেই হুঁশিয়ারি দেওয়ার পরে দু’সপ্তাহ কাটেনি। ফের হাতির হামলায় মৃত্যু হল ডুয়ার্সের ডানকানের বীরপাড়া চা বাগানে। জংলি দাঁতাল হাতির তাণ্ডবে প্রাণ গেল এক মহিলার। বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন বীরপাড়া চা বাগানের পার্ক লাইনে ঢুকে বুনো দাঁতালটি বসত ঘর গুঁড়িয়ে দিয়ে ভিতরে ঢুকে পা দিয়ে পিষে মারল মহিলাকে। আহত হয়েছে মহিলার স্বামী বিষ্ণু ওঁরাও ও তাঁদের দশ বছরের মেয়ে খুশি। শনিবার গভীর রাতে দাঁতালটি বাড়ি ভাঙা শুরু করতেই সন্তানকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার রাস্তা না পেয়ে পরিবারটি ঢুকে পড়ে চৌকির নীচে। দাঁতালটি এক লাথি দিয়ে চৌকিও ভেঙে ফেলে। সামনে মহিলাকে পেয়ে তাঁকে পা দিয়ে পিষে মেরে ফেলে শ্রমিকদের চিৎকারে কিছু ক্ষণ পর দাঁতালটি চলে যায়। স্বামী ও মেয়ে ভয়ে এক কোণায় চলে যাওয়ায় চৌকি আঘাতে আহত হন। তাঁদের রাতেই বীরপাড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পেয়ে আসে দলগাঁও রেঞ্জের বনকর্মীরা।
পুলিশ জানায়, ৩৬ বছরের মৃত মহিলার নাম ফাগুনি ওঁরাও। দেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।
বীরপাড়া চা বাগানের শ্রমিক গোপাল ভগত, পুরান কুজুররা ক্ষোভ দেখিয়ে জানান, এর আগেও কয়েকবার বাগানে ঢুকে ঘর বাড়ি ভেঙে শ্রমিকদের আহত করে বুনো হাতির দল। বনকর্মীদের খবর দেওয়া হলেও ঠিক সময়ে আসেন না।
দলগাঁও রেঞ্জের রেঞ্জার রাজীব দে বলেন, “মৃত্যুটা দুঃখজনক। হাতির হামলায় মৃত মহিলার পরিবার আইন অনুযায়ী আড়াই লক্ষ টাকা ক্ষতিপুরণ পাবেন। দাঁতালটি কোন জঙ্গল থেকে এসেছে, তা স্পষ্ট করে বলা সম্ভব নয়।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy