প্রতীকী ছবি।
ভবঘুরে এক নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে মহম্মদ আনসারি নামে এক অটোচালককে গ্রেফতার করল পুলিশ। তাঁর বিরুদ্ধে পকসো ধারায় ধর্ষণের মামলা রুজু করা হয়েছে। অভিযোগকারিণীর মেডিক্যাল পরীক্ষা করিয়েছে পুলিশ। তাকে জলপাইগুড়ির একটি হোমে রাখা হয়েছে। ধৃতকে পুলিশ হেফাজতে রাখার আবেদন মঞ্জুর করেছে আদালত। পুলিশ তাঁকে জেরা শুরু করেছে। ওই ঘটনায় আর কেউ মদত দিয়েছে কি না, তা-ও পুলিশ খতিয়ে দেখছে।
পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে মেয়েটিকে একটি শর্ট স্টে হোম থেকে আর একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। সেই সময়ে এনজেপি স্টেশনে ঢোকার মুখে ভিড়ের সুযোগে সে পালিয়ে যায়। ওই রাতে এনজেপি-র জিআরপি থানায় হোমের তরফে মিসিং ডায়েরি করানো হয়। কিন্তু, রাতে তার হদিশ করতে পারেনি পুলিশ। পরদিন মেয়েটিকে স্টেশন এলাকায় ফের দেখা যায়। তখন স্বেচ্ছাসেবীরা তাকে হোমে নিয়ে যান। সেখানে তাকে জেরা করে জানা যায়, পালিয়ে স্থানীয় একটি মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়েছিল সে।
আরও জানা যায়, রাতেই এক অটোচালক তাকে শহরে ঘোরানোর নাম করে ডাঙ্গিপাড়া এলাকায় নিয়ে যান। অভিযোগ, সেখানেই তাকে ধর্ষণ করা হয়।
কিশোরীর দাবি অনুযায়ী, রাতেই তাকে আবার এনজেপিতে ছেড়ে দিয়ে যান অভিযুক্ত। সে রাতে স্টেশনের কাছেই কোনও মতে রাত কাটায় সে। এনজেপি-তে যে স্বেচ্ছাসেবীরা ভবঘুরেদের সুস্থ জীবনের ফেরানোর কাজ করেন, পরদিন তাঁরাই দেখতে পান মেয়েটিকে।
স্বেচ্ছাসেবীদের তরফে জানানো হয়েছে, মেয়েটির উপরে অত্যাচার হয়েছে, এ কথা জানার পরে তাকে এনজেপি থানায় নিয়ে গিয়ে অভিযোগ দায়ের করানো হয়। মেয়েটির বিবরণ শুনে পুলিশ অভিযুক্ত ওই অটোচালকে গ্রেফতার করে শুক্রবার রাতে। শনিবার তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা দায়রা আদালতে তোলা হলে অভিযুক্তের সাত দিনের পুলিশি হেফাজত মঞ্জুর করেন বিচারক।
এই ঘটনার পরে এনজেপি স্টেশন লাগোয়া এলাকায় পুলিশের নজরদারি বাড়ানোর অনুরোধ জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। বিশেষত, স্টেশন লাগোয়া এলাকায় ভবঘুরে কিশোর-কিশোরীদের উপরে নজর রাখতে সন্ধ্যার পরে প্রশিক্ষিত মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ার মোতায়েন করা যায় কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার জন্য পুলিশ কর্তাদের কাছে আর্জি জানিয়েছেন স্বেচ্ছাসেবীরা। পুলিশের তরফে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে পদক্ষেপের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy