রায়গঞ্জ থানার ভাতুন গ্রাম পঞ্চায়েতের নয়াটোলা এলাকা থেকে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ধৃত দুই বাংলাদেশি যুবকের সঙ্গে রানাঘাট কান্ডের কোনও যোগ নেই বলে অনেকটাই নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের নিজের বাড়িতে অবৈধভাবে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যে দু’জনের বিরুদ্ধে সেই নয়াটোলা এলাকার দুই বাসিন্দা মামুন রহমান ও মালিকুল ইসলাম এখনও অধরা। এদিন মামুনের পরিবারের তরফে পুলিশের কাছে দাবি করা হয়েছে, ধৃত বাংলাদেশি ওই দুই যুবক মামুনের সঙ্গে পঞ্জাবের একটি ইটভাটা থেকে কাজ করে গত বৃহস্পতিবার এলাকায় ফিরেছিল। ধৃতেরাও একই দাবি করেছিল পুলিশের কাছে। নয়াটোলা এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ জানান, তাঁরাও পুলিশের কাছে ধৃতরা মামুনের সঙ্গে পঞ্জাবে একটি ইটভাটায় কাজ করত জানিয়েছিলেন।
ঘটনাচক্রে, এদিন সিআইডির তরফে জেলা পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ধৃত দুই বাংলাদেশি যুবকের ছবি একাধিকবার পরীক্ষা করা হয়েছে। আপাতত রানাঘাটকান্ডের সঙ্গে তাদের জড়িত থাকার মতো কোনও প্রমাণ মেলেনি। বিষয়টি স্পষ্ট হতেই এদিন সিআইডি নতুন করে রায়গঞ্জ থানা এলাকার প্রতিটি বাসস্ট্যান্ড, রেলস্টেশন, বাজার সহ বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় রানাঘাটকান্ডের সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাত পরিচয় সাতজন অভিযুক্তের ছবি ও স্কেচের পোস্টার লাগানোর জন্য পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গত শুক্রবার বিকালে নয়াটোলা এলাকা থেকে বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর থানা এলাকার বাসিন্দা মহম্মদ মাজেদ ও মুকুল আলম নামে ওই দুই যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
জেলা পুলিশ সুপার সৈয়দ ওয়াকার রেজা বলেন, “মুকুল ও মাজেদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দায়ের করে তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সাতদিনের মধ্যে যদি জানা যায় সত্যিই তারা রানাঘাটকান্ডের সঙ্গে জড়িত রয়েছে, তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামুন ও মালিকুলের খোঁজে তল্লাশি চলছে।”
মামুনের বাবা সামসুর রহমানের দাবি, তাঁর ছেলে গত এক বছর ধরে পঞ্জাবের লুধিয়ানার একটি ইটভাটায় কাজ করে। সেখানেই মাজেদ ও মুকুলের সঙ্গে মামুনের পরিচয় হয়। তিনি বলেন, “ছেলে সরল বিশ্বাসে মাজেদ ও মুকুলকে বেড়ানোর জন্য বাড়িতে নিয়ে এসেছিল। এখানেই এরপর প্রতিবেশি মালিকুলের সঙ্গে তাদের পরিচয় হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy