E-Paper

ব্যালট নিয়ে বিডিওর দাবি ‘অবাস্তব’: কোর্ট

মামলায় বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করেন বিচারপতি। ৯ অগস্ট ফের শুনানি হবে। সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, যত ভোট ওই বুথে পড়েছিল তার থেকে বেশি ভোট গোনা হয়েছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ অগস্ট ২০২৩ ১০:১১

—প্রতীকী চিত্র।

ভোটকেন্দ্রের বাইরে ব্যালট গেল কী করে, আদালতের এ প্রশ্নে জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ির বিডিও-র জবাব, ‘‘হতে পারে, যিনি মামলা করেছেন তিনি নিজের কাছে ইচ্ছে করে ব্যালটগুলি রেখেছিলেন, যাতে পরে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে সেগুলি ফের ঢুকিয়ে দিতে পারেন।” শুনে কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিংহ বিচারপতির মন্তব্য, “আপনি যা বলছেন, তা অবাস্তব। যুক্তির একটা সীমা থাকা দরকার।” জেলার সাকোয়াঝোড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের একটি বুথের ভোট সংক্রান্ত মামলায় ধূপগুড়ির বিডিওকে কলকাতা হাই কোর্টে তলব করেছিলেন বিচারপতি সিংহ। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে সেই মামলা ফের ওঠে।

বিচারপতি বিডিওর কাছে জানতে চান, কেন্দ্রের বাইরে ব্যালট গেল কী ভাবে? উত্তরে ধূপগুড়ির বিডিও শঙ্খদীপ দাস বলেন, “ব্যালট উদ্ধারের অভিযোগ ভোটের দিন বা পরে জানানো হয়নি।’’ এর পরেই জুড়ে দেন মামলাকারী নিজের কাছে ব্যালট রেখে থাকতে পারেন। বিচারপতি বলেন, “আপনি যা বলছেন তা অবাস্তব। কেউ ভোটে দাঁড়ায় জেতার জন্য, ব্যালট লুকিয়ে রাখার জন্য নয়।” রাজ্যের সরকারি আইনজীবী ললিতমোহন মাহাতোকে উদ্দেশ্য করে বিচারপতি বলেন, “আপনার মক্কেল (বিডিও) ভেবেছেন কী, কোর্টে এসে যা বলবেন, সত্যি বলে মেনে নিতে হবে!”

এই মামলায় বুথের প্রিসাইডিং অফিসারকে তলব করেন বিচারপতি। ৯ অগস্ট ফের শুনানি হবে। সরকারি রিপোর্টে দেখা যায়, যত ভোট ওই বুথে পড়েছিল তার থেকে বেশি ভোট গোনা হয়েছে। অভিযোগকে ‘মারাত্মক’ বলেও মন্তব্য করেছেন বিচারপতি।

সাকোয়াঝোড়া ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সোনাখালি বুথের পরাজিত কংগ্রেস প্রার্থী শাহনাজ পারভিন হাই কোর্টে মামলা করে অভিযোগ করেন, তিনি মাত্র ১১ ভোটে হেরেছেন এবং ভোটের পরে, মাঠের থেকে ৪৭টি ব্যালট উদ্ধার হয়েছে যেগুলির বেশির ভাগেই তাঁর প্রতীক চিহ্নে ভোট দেওয়া ছিল। ১৯ জুলাই মামলার প্রথম শুনানির দিন ব্যালটগুলি আদালতে জমা করা হয়। এ দিন বিডিও আদালতে ব্যালটগুলির ক্রমিক নম্বর যথাযথ বলে জানিয়েছেন। মামলাকারী কংগ্রেস প্রার্থীর স্বামী তথা জেলা কংগ্রেস কমিটির সদস্য নাজিবুল ইসলাম বলেন, “আদালতে সবটাই প্রমাণ হবে।” জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান খগেশ্বর রায় বলেন, “এটা প্রশাসনিক বিষয়।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Jalpaiguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy