Advertisement
E-Paper

অ্যাম্বুল্যান্সেই প্রসব করলেন রেফারের প্রসূতি 

প্রসূতির ওই অবস্থায় গ্রামীণ ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কোন বিবেচনায় অন্যত্র রেফার করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৩৯
সদ্যোজাত: প্রসবের পর অ্যাম্বুল্যান্সে। মালদহে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

সদ্যোজাত: প্রসবের পর অ্যাম্বুল্যান্সে। মালদহে মঙ্গলবার। নিজস্ব চিত্র

সকালেই প্রসব যন্ত্রণা শুরু হয় সেরিনা বিবির। মালদহের বামনগোলার শিকলপুর গ্রামের বাড়ি থেকে পরিবারের সঙ্গে গিয়েছিলেন মদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে। ভর্তি হলেও সেখান থেকে তাঁকে ৫০ কিলোমিটার দূরে রেফার করা হয় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। কিন্তু যাওয়ার পথে অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যায় সেরিনার। শেষে মালদহ মেডিক্যালে পৌঁছে মা ও সদ্যোজাতের নাড়ি কাটা হয়ে। আপাতত দু’জনেই সুস্থ।

কিন্তু প্রসূতির ওই অবস্থায় গ্রামীণ ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা কোন বিবেচনায় অন্যত্র রেফার করেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের সুপার অমিতকুমার দাঁ বলেন, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতাল থেকে সামান্য কারণেই রেফার করে দেওয়া হচ্ছে। যার জেরে অনেক ক্ষেত্রেই পথেই সন্তান প্রসবের মতো ঘটনা ঘটছে।’’ এর ফলে মা ও শিশুর জীবনের ঝুঁকি থেকে যায় বলে তিনি জানান। তিনি বলেন, ‘‘স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

সেরিনার পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সাড়ে ৭টা নাগাদ তাঁকে স্থানীয় মদিপুকুর গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেরিনাকে সকাল ৮টা ৪০ নাগাদ হাসপাতাল থেকে মালদহ মেডিক্যালে রেফার করে দেন চিকিৎসকেরা। ওখান থেকে মালদহ মেডিক্যালের দূরত্ব ৫০ কিলোমিটার। তবে পুরাতন মালদহের মোহনবাগান এলাকায় ৯টা ৪২ নাগাদ অ্যাম্বুল্যান্সের মধ্যেই সন্তান প্রসব হয়ে যায় সেরিনার। তাঁর মা সাহেরা বিবি বলেন, ‘‘গ্রামের হাসপাতাল থেকে বলা হয়, এখানে প্রসব হবে না। রোগীর অবস্থা ভাল নয়। তাই রেফার করা হয়।” মহিলা স্বাস্থ্যকর্মী সুভদ্রা রায় বলেন, ‘‘মাঝপথেই ওই প্রসূতির শরীর থেকে বাচ্চার অর্ধেকাংশ বেরিয়ে আসে। তাই গাড়িতেই প্রসব করানো হয়।” অ্যাম্বুল্যান্সে নাড়ি কাটার কোনও ব্যবস্থা ছিল না বলে জানিয়েছেন তিনি।

কিন্তু কেন এমন রেফার? জবাবে ওই গ্রামীণ হাসাপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, প্রসূতির অবস্থা ভাল ছিল না। বামনগোলার ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সন্দীপ কুণ্ডু বলেন, ‘‘গ্রামীণ হাসপাতাল হলেও সুষ্ঠ পরিষেবা দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। এ দিনের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’

Hospitals Doctors Ambulance Pregnant Woman
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy