ভুটান গেট।
পুজোর মুখে প্রায় আড়াই বছর পর জনসাধারণের জন্য খুলে গেল জলপাইগুড়ির বানারহাটের কাছে চামুর্চির ভুটান গেট। শুক্রবার সকালে ভুটানের রীতি মেনে পুজোআচ্চা করে গেট খোলা হয়। হাজির ছিলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী লোটে শেরিং। ভারতের তরফেও একই ভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। কখন গেট খুলবে, তা দেখার জন্য সকাল থেকেই ভুটানের গেটের সামনে অধীর আগ্রহে ভিড় জমান ছোট্ট গ্রাম চামুর্চির বাসিন্দারা।
শুক্রবার ভুটান গেট খোলার অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন ভুটানের সামসি জেলার জেলাশাসক পাসাং দর্জি, পুলিশ সুপার লনড্র্যুপ দর্জি, ভারতীয় গোর্খা কাউন্সিলের সম্পাদক সন্দীপ ছেত্রী, ইন্দো-ভুটান বন্ধুত্ব কমিটির সদস্য রেজা করিম-সহ দু’দেশের অনেকেই। প্রথমে ভারতীয় অতিথিদের ভুটানে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী শেরিং বলেন, ‘‘আমাদের দেশে ৯৪ শতাংশ মানুষ করোনার টিকা নিয়ে ফেলেছেন। পর্যটকদের সুবিধার্থেও বিভিন্ন রকমের ব্যবস্থা গ্ৰহণ করা হয়েছে।’’ ভারত ও ভুটানের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক অটুট রাখার বার্তা দেন সামসির জেলাশাসকও। তিনি বলেন, ‘‘আজ (শুক্রবার) থেকে সকলের জন্যেই ভুটান গেট খুলে দেওয়া হল। আড়াই বছর ধরে এই গেট বন্ধ ছিল। পর্যটকরা রাত্রিযাপন করলে তার জন্য ১,২০০ টাকা লাগবে। কিন্তু দিনের বেলা ঘুরে এলে কোনও টাকা লাগবে না। সকলকেই ভুটানে আমন্ত্রণ জানাচ্ছি আমরা।’’
অতিমারি শুরু হওয়ার পরেই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল চামুর্চির ভুটান সীমান্ত। যার জেরে ওই সীমান্ত লাগোয়া এলাকায় অর্থনীতিই মুখ থুবড়ে পড়েছিল। বহু মানুষ ভিন্রাজ্যে পাড়ি দেন কাজের সন্ধানে। চামুর্চির ছোট ব্যবসায়ী আকিবুল হক বলেন, ‘‘চামুর্চি বাজার নির্ভরশীল ভুটানের উপর। এত দিন গেট বন্ধ থাকায় মুখ থুবড়ে পড়েছে এই এলাকার ব্যবসা। বাজারটাই তো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আশা করছি, এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে।’’ একই ভাবে সমস্যার সম্মুখীন হন সীমান্ত লাগোয়া ভুটানবাসীরাও। সামসির বাসিন্দা সন্তোষী শর্মা বলেন, ‘‘আমাদের ওষুধপত্র কেনা ও বাজার করতে এত দিন ভীষণ অসুবিধা হত। গেট খুলে যাওয়ায় আবার আগের মতো আমরা যাতায়াত করতে পারব। ভীষণ খুশি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy