বৃহস্পতিবারের বিভীষিকা এখনও ভীষণ জ্যান্ত ওঁদের কাছে। বিকেল পাঁচটা নাগাদ তিস্তার উপর রেলসেতু পেরিয়ে বিকানের এক্সপ্রেস গতি বাড়িয়ে এগিয়ে যাচ্ছে নিউ ময়নাগুড়ির দিকে, আচমকাই বিকট শব্দ। তার পরের কথা অনেকেই ভাল মতো মনে করতে পারছেন না। আবার কারও তা মনে পড়লেও, কথায় প্রকাশে অক্ষম। ওঁরা সকলেই অভিশপ্ত বিকানের এক্সপ্রেসের যাত্রী। কী করে প্রাণ বাঁচল, এখনও তা যেন নিজেদেরই বিশ্বাস হচ্ছে না নিদাল, সঙ্গীতা, সঞ্জীবদের। কিন্তু বেঁচে আছেন, এটাই বাস্তব।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে গুয়াহাটি যাবেন বলে বিকানের এক্সপ্রেসে উঠেছিলেন মধ্য কুড়ির নিদাল। সংরক্ষিত এস-৩ কামরায় নিজের আসনে গুছিয়ে বসে, জানালা দিয়ে উত্তরবঙ্গের শোভা দেখছিলেন। এরই মধ্যে এনজেপি ছাড়িয়ে বেলাকোবা, রানিনগর, জলপাইগুড়ি রোড পেরিয়ে তিস্তা সেতুতে ট্রেন। ঝম ঝম আওয়াজের সঙ্গে বিপুল তিস্তার রূপ দেখতে দেখতে তন্ময় নিদাল কি ভেবেছিলেন মিনিট কয়েকের মধ্যেই কী অপেক্ষা করছে তাঁদের জন্য?