Advertisement
E-Paper

ফিরছেন বিপ্লব, চললেন অর্পিতা

গত লোকসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ বিপ্লব। তার সঙ্গে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, এক ঝাঁক জেলা পরিষদ সদস্য, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য। জেলা তৃণমূল সভাপতি হন অর্পিতা ঘোষ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০২০ ০৬:০২
ব্যানারে বিপ্লব। নিজস্ব চিত্র

ব্যানারে বিপ্লব। নিজস্ব চিত্র

কথা ছিল বৃহস্পতিবার বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরবেন বিপ্লব মিত্র। প্রস্তুতিও ছিল তুঙ্গে। কিন্তু প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের প্রয়াণে তা পিছিয়ে যায়।

তৃণমূল সূত্রে খবর, শুক্রবার কলকাতার তৃণমূল ভবনে আনুষ্ঠানিক ভাবে ওই দলে যোগ দেবেন বিপ্লব। ওই খবরে উচ্ছ্বসিত তাঁর অনুগামীরা।

গত লোকসভা নির্বাচনের পরেই তৃণমূল ছেড়ে মুকুল রায়ের হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন দক্ষিণ বিপ্লব। তার সঙ্গে বিজেপিতে গিয়েছিলেন জেলা পরিষদের সভাধিপতি, এক ঝাঁক জেলা পরিষদ সদস্য, কাউন্সিলর, পঞ্চায়েত সদস্য। জেলা তৃণমূল সভাপতি হন অর্পিতা ঘোষ।

দলের অন্দরমহলের কানাঘুষো, অর্পিতা সভাপতি হতেই আবার বিপ্লবের ‘সঙ্গ’ ছেড়ে একে একে সমস্ত জনপ্রতিনিধিই তৃণমূলে ফিরে যান। কার্যত ‘একা’ হয়ে পড়েন বিপ্লব। কিন্তু বিজেপিতে কাঙ্খিত গুরুত্ব না পেয়ে ফের নিজের দলে ফেরার ‘বার্তা’ দিতে গেরুয়া শিবিরের সমস্ত অনুষ্ঠানও বয়কট করেন।

বুধবার রাত প্রায় সাড়ে ১০টা। শহরের নিউমার্কেট এলাকার মহারাজ অ্যাপার্টমেন্টের তিনতলার ফ্ল্যাটে তখনও আলো জ্বলছে। অন্য দিনের মতো অনুগামী-কর্মী-নেতাদের ভিড় নেই। খানিক বাদে নিস্তব্দতা ভেঙে লিফট নীচে এসে থামল। রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে থাকা রাজ্যসভার সাংসদ ‘স্টিকার’ লাগানো সাদা গাড়ির চালক নড়ে উঠলেন। দেহরক্ষীকে নিয়ে রাত পৌনে ১১টা নাগাদ বালুরঘাট ছাড়লেন বিদায়ী জেলা সভাপতি অর্পিতা ঘোষ। ম্লান মুখে হাতেগোনা কয়েকজন অনুগামী অবশ্য অর্পিতার সঙ্গে দেখা করে যান। বালুরঘাট ছেড়ে সাদা রঙের ছোট গাড়িটি থানা মোড়ের রাস্তা দিয়ে মিলিয়ে যাওয়ার আগে অর্পিতা বলে গেলেন, শীঘ্রই বালুরঘাটে ফিরবেন।

তৃণমূল সূত্রে খবর, বিপ্লবের প্রত্যাবর্তন কয়েক মাস আগেই প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে জেলা সভাপতির পদ থেকে অর্পিতাকে সরিয়ে আনা হয় গৌতম দাসকে। তার পরেই বিপ্লবের ফেরার পথ মসৃণ হয়। গৌতম বলেন, ‘‘উনি বিজেপি ছেড়ে দলে এলে সংগঠন আরও মজবুত হবে। উনি আমার রাজনৈতিক গুরুও। তাই কোনও সমস্যাও হবে না।’’

বিজেপি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‘কাউকে জোর করে আটকে রাখা যায় না। কে, কোন দলে যাবেন তা তাঁর ব্যক্তিগত বিষয়। দলে প্রভাব পড়বে না।’’

TMC BJP Politics
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy