উদয়ন গুহ।
এ বার উদয়ন গুহের বিরুদ্ধে সরাসরি কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুললেন বিজেপির জলপাইগুড়ির পর্য়বেক্ষক দীপ্তিমান সেনগুপ্ত। বুধবার তিনি তাঁর ফেসুবক পোস্টে উল্লেখ করেন, “আজকের দিনহাটার স্লোগান ছিল, উদয়ন গুহ চোর ম্যান। কাটমানি ফেরত দেন।” তাঁর ওই অভিযোগ নিয়ে বিতর্ক দানা বেঁধেছে। উদয়ন গুহ সরাসরি তাঁকে চ্যালেঞ্জ করে বলেন, “এমন একটি উদাহরণ সামনে নিয়ে আসুন, যদি বাপের ব্যাটা হন। এ সব করে কোনও লাভ হবে না। হতাশা থেকেই আসলে এমন বিষয় আসে।” দীপ্তিমানের বক্তব্য, “পুরসভা এলাকায় ঘর দেওয়ার নাম করে বহু মানুষের কাছ থেকে তিরিশ থেকে চল্লিশ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। ভয় দেখিয়ে তাঁদের চুপ করে রাখা হয়েছে। সেই সব বিষয় নিয়েই স্লোগানে এমনটা উঠে আসে।”
কাটমানি নিয়ে এখন চারদিকে হইহই হচ্ছে। তৃণমূলের একাধিক নেতা-কাউন্সিলর–পঞ্চায়েত সদস্য ঘেরাও হন। অনেকেই কাটমানি ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হন। এমন অবস্থায় দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক তথা দিনহাটা পুরসভার চেয়ারম্যান উদয়নের বিরুদ্ধে বিজেপির এমন অভিযোগ ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
দীপ্তিমানবাবু আদতে দিনহাটা শহরের বাসিন্দা। তাঁর বাবা দীপক সেনগুপ্ত ফরওয়ার্ড ব্লকের বিধায়ক ছিলেন। দীপ্তিমান ছিটমহল বিনিময় আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। পরে তিনি বিজেপিতে যোগ দেন। অভিযোগ, বিজেপি করার জন্যে তার উপর তৃণমূল হামলা চালায়। সেই সময় তিনি কয়েকদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার পর থেকেই দিনহাটা ছেড়ে কোচবিহার শহরে থাকতে শুরু করেন। এ বারে দিনহাটায় সংগঠন গড়তে ফের কোমর বেঁধে নেমেছেন তিনি। দীপ্তিমান জানান, খুব অল্প সময়েই উদয়নের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় নথি প্রকাশ্যে আসবে।
তৃণমূলের দাবি, লোকসভার ফলের পরে দিনহাটায় তৃণমূলের সংগঠন ভেঙে পড়েছে বলে মনে করছে বিজেপি। কিন্তু নয়ারহাটে উদয়নের গাড়িতে হামলার পর থেকে পরিস্থিতি অন্য দিকে মোড় নেয়। তৃণমূল প্রতিরোধ গড়ে তোলে। তৃণমূলের আরও দাবি, দু’দিন আগেই দিনহাটায় হওয়া সুব্রত বক্সীর কর্মিসভায় হাজার হাজার মানুষের ভিড় হয়। সেই তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের হার না মানা মনোভাব দেখে হতাশ হয়ে পরেছে বিজেপি। তৃণমূলের কোচবিহার জেলার কার্যকরী সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন, “এমন মিথ্যে ও মনগড়া অভিযোগ তুলে কোনও লাভ নেই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy