প্রতীকী ছবি।
এ বার সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথগুলিতে নজর দিল বিজেপি। দল সূত্রে জানা গিয়েছে, কোচবিহারে এমন অন্তত ১০০টি বুথ রয়েছে, যেখানে সংগঠন গড়তে পারেনি বিজেপি। ওই বুথগুলিতে সংগঠন গড়তে সংখ্যালঘু নেতাদেরই তাই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত বুধবার, শিলিগুড়িতে বুথের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে বৈঠক করেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা শিবপ্রকাশ। বৈঠকে কোচবিহার জেলার প্রতিনিধিরাও যোগ দেন। দলীয় সূত্রে খবর, ওই বৈঠকে বুথের সংগঠন মজবুত করার লক্ষ্যে একাধিক পরামর্শ দেন কেন্দ্রীয় নেতারা। ওই বৈঠকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথগুলিতেও নজর দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিজেপির সংখ্যালঘু নেতারা ওই এলাকায় প্রচারে নামতে পারলে তার ভাল প্রভাব পড়বে বলে মনে করছে দল।
বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “পরিস্থিতি অনেকটাই অন্যরকম। সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথ থেকে অনেকে যোগাযোগ করছেন। কিছু বুথে সংগঠনও তৈরি করেছি। বাকিগুলিতেও হবে আশা করছি।” তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “বিজেপি ধর্ম-সম্প্রদায় নিয়ে রাজনীতি করে। বিভেদ তৈরির চেষ্টা করে। সে কারণে মানুষ ক্ষুব্ধ তাদের উপর।’’
কোচবিহারে দু’হাজার দুশোর কিছু বেশি বুথ রয়েছে। প্রায় সব বিধানসভা এলাকায় কমবেশি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত বুথ আছে। বিজেপি সূত্রে খবর, সংখ্যালঘু অধ্যুষিত নির্দিষ্ট কিছু গ্রাম পঞ্চায়েতে ওই বুথের সংখ্যা বেশি। বিজেপির দাবি, জেলার দু’হাজার একশোটির বেশি বুথে সংগঠন তৈরি হয়েছে। বাকি বুথগুলির মধ্যে বেশ কিছু বুথে বিজেপির কর্মী-সমর্থক রয়েছেন। কিন্তু তাঁরা প্রকাশ্যে বিজেপির হয়ে প্রচারে নামেনি। এক বিজেপি নেতার কথায়, “কম হলেও সংখ্যালঘু মানুষের একটি অংশের ভোট আমরা পাব। বিজেপি’র মিটিং-মিছিলেও বহু সংখ্যালঘু মানুষ হাজির হচ্ছেন। তা দেখতে পেয়েই ওই বুথগুলিতে সংগঠন তৈরিতে জোর দেওয়া হয়েছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy