মুখ্যমন্ত্রী ফিরে যেতেই চা বলয়ের এক তৃণমূল বিধায়কের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে ওই বিধায়কের সঙ্গে কথাবার্তা অনেকটাই এগিয়েছে বলে খবর। সোমবার চালসার একটি রিসর্টে বৈঠকও হয়েছে বলে খবর। বিজেপি সূত্রের দাবি, বিধানসভা ভোটের আগেই ওই বিধায়ক গেরুয়া শিবিরে যোগ দিতে পারেন।
এখন আরও জানা যাচ্ছে, গত লোকসভা ভোটের পর ওই বিধায়কের সঙ্গে একবার বৈঠকে বসেছিল বিজেপি। কিন্তু সে বার খোদ তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে তাঁর যোগদান আটকে যায়। এ বার যা হওয়ার তা কিছুদিনের মধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে যাবে বলে বিধায়কের অনুগামীদের দাবি। এ দিকে জলপাইগুড়ি পুরসভার বিদায়ী চেয়ারম্যান মোহন বসুর সঙ্গে সদ্য তৃণমূল থেকে ইস্তফা দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীর কথা হয়েছে বলে খবর। জানুয়ারিতে মোহন শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে খবর। যদিও মোহন-অনুগামীরা এই খবরকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে দাবি করেছেন। কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য না করে কিছুদিন ধরেই মোহনও সংবাদমাধ্যমকে বলে চলেছেন, “জানুয়ারি মাস থেকে পথে নামব। তখনই যা বলার বলব। শুধু আমি নয়, অনেকেই বলবে।”
ধূপগুড়ি এবং মালবাজারের একাধিক কাউন্সিলরের নামও তৃণমূলের বিক্ষুব্ধ তালিকায় শোনা যাচ্ছে। জেলার একটি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডের মাথাই বিজেপি যোগ দিতে পারেন বলে খবর। মালবাজারের এক পরিচিত চা শ্রমিক নেতাও তৃণমূল ছেড়ে বিজেপির দিকে পা বাড়িয়েছেন বলে খবর। সূত্রের খবর, সকলের ক্ষেত্রে যোগদান নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব সবুজ সঙ্কেত দেননি। বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী বলেন, “জেলার একাধিক বিধায়ক থেকে তৃণমূল নেতারা আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। তবে যাঁদের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভ রয়েছে তাঁদের দলে নেওয়ার ক্ষেত্রে নেতৃত্বের বারণ রয়েছে।”
কিছুদিন আগেই ‘বেসুরো’ হয়েছিলেন ময়নাগুড়ির বিধায়ক অনন্তদেব অধিকারী। তিনি সরাসরি পিকে-র বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। দলের বিজয়া সম্মিলনীতে জেলা নেতৃত্বকে আক্রমণের নিশানা করেছিলেন রাজগঞ্জের বিধায়কও। গেরুয়া শিবির সূত্রের খবর, জেলায় তৃণমূলের চার বিধায়কের সঙ্গে কথা হয়েছিল বিজেপি নেতৃত্বের। যদিও তিন বিধায়ককে দলে নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেনি সঙ্ঘ, দাবি বিজেপির। চা বলয়ের এক বিধায়ককে দলে নেওয়ার সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে সঙ্ঘ। সেই বিধায়কের সঙ্গেই চালসার রিসর্টে বৈঠক করেন বিজেপি নেতৃত্ব।
জেলা তৃণমূল সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী অবশ্য সব জল্পনাকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, “বিজেপি অপপ্রচার করছে। যাঁরা মানুষের জন্য কাজ করতে চান তাঁরা তৃণমূলেই আছেন, থাকবেন। গত মঙ্গলবার মুখ্যমন্ত্রীর সভার ভিড় সেটা প্রমাণ করে দিয়েছে।”