নিজস্ব চিত্র
কোচবিহারে মৃত বিজেপি কর্মী অনিল বর্মণের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে বিজেপি নেতারা। বুধবার সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রে আদাবাড়ি গ্রামে যায় বিজেপির একটি প্রতিনিধিদল। সেই দলে ছিলেন সায়ন্তন বসু, নিশীথ প্রামাণিক-সহ অন্যেরা। যদিও বিজেপি প্রতিনিধিদলকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। অনিলের বাড়িতে যাওয়ার পথেই বিজেপি নেতাদের আটকে দেওয়া হয়। কালো পতাকা দেখানো হয় বলে অভিযোগ। ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ওই এলাকায়। পুলিশ গেলেও বিক্ষাভের জেরে অনিল বর্মণের পরিবারের সঙ্গে দেখা না করেই ফিরে আসতে হয় বিজেপি প্রতিনিধিদলকে।
৩০ মে অনিলের ঝুলন্ত মৃতদেহ পাওয়া যায় বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে। বিজেপি-র অভিযোগ, অনিলকে খুন করে গাছে ঝুলিয়ে দিয়েছে তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। সায়ন্তন বলেন, ‘‘তৃণমূল কোচবিহারে অনেক কষ্টের মাত্র দু’টি বিধানসভায় জিতেছে। তার পরেও এত দাপাদাপি। এক জন বিজেপি কর্মীর মৃত্যু হয়েছে। তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য সাংসদ ও বিধায়করা যাবে, তাতেও তাদের আপত্তি। পশ্চিমবঙ্গে কোন আইনের শাসন নেই। ১৫ জন মিলে রাস্তা আটকে দিয়েছে। পুলিশ তাদের সরাতে পারছে না। এটা দুঃখজনক ও দুর্ভাগ্যজনক।’’
সিতাই বিধানসভার তৃণমূলের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া বলেন, ‘‘এটি গ্রামবাসীদের একটি স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ। বিজেপি কর্মী আত্মহত্যা করলে তৃণমূল কর্মী খুন করেছে বলে চালানোর চেষ্টা করছে বিজেপি। বিজেপি শান্ত এলাকাকে অশান্ত করার চেষ্টা করছে। মানুষ প্রতিবাদ তৈরি করেছে। সেখানে তৃণমূলের কোন পতাকা ব্যবহার হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে তৃণমূল যুক্ত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy