Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Anit Thapa

Teacher recruitment Scam: ‘নিয়োগ-দুর্নীতিতে’ নালিশ বিধায়কের, এ বার অনীত, বিনয়ের দিকে আঙুল

সরকারি সূত্রের খবর, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকায় এখনও এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের পদ্ধতি নেই।

ফাইল চিত্র।

ফাইল চিত্র।

কৌশিক চৌধুরী
শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২২ ০৬:০৬
Share: Save:

পাহাড়ে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির সঙ্গে অনীত থাপা, বিনয় তামাংরা জড়িত বলে দাবি করলেন কার্শিয়াঙের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা। এর আগে, তিনি সিবিআইকে চিঠি দিয়ে পাহাড়ের শিক্ষক দুর্নীতির তদন্ত চেয়েছেন। বুধবার বিধায়ক শিলিগুড়িতে এসে অভিযোগ করেন, পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী থাকার সময় এক দল অফিসারের সঙ্গে মিলে এই দুর্নীতি করা হয়েছে বলেই মনে হচ্ছে। এমনকি, ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ম্যাল চৌরাস্তায় অনুষ্ঠান থেকে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ১২১ জনকে চাকরির নিয়োগপত্র দিয়েছিলেন বলে তিনি অভিযোগ করেছেন। একটি লাল রঙের ফাইল দেখিয়ে তিনি দাবি করেন, এই ফাইল নথিপত্র কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার কাছে গিয়েছে। আশা করছি, সময়মতো সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিধায়ক বলেন, ‘‘নিয়োগ দুর্নীতিতে পাহাড়েও রয়েছে। টাকা নিয়ে, সুপারিশ করে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে। দেশের বাইরে যাঁরা কাজেকর্মে ছিলেন, তাঁদের নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। বিনয় তামাং, অনীত থাপারা এতে জড়িত আছেন। তদন্ত হলে সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’’

সরকারি সূত্রের খবর, কালিম্পং ও দার্জিলিং জেলার পাহাড়ি এলাকায় এখনও এসএসসি-র মাধ্যমে নিয়োগের পদ্ধতি নেই। শিক্ষাদফতর জিটিএ আইন অনুসারে হস্তান্তর হয়ে গিয়েছে। পাহাড়ের বহু শিক্ষক-শিক্ষিকার পদ খালি রয়েছে। সেখানে ‘ভলান্টারি টিচার’ নিয়োগ করে, পরে নিয়োগপত্র দিয়ে কাজ স্থায়ী করা হয়েছে। নেতাদের আত্মীয়স্বজনে ঢালাও চাকরি পেয়েছেন বলে অভিযোগ। কার্শিয়াঙের বিধায়কের অভিযোগ, ‘‘আমরা বহু নথিপত্র পেয়েছি। জিটিএ-র হাতে পাহাড়ের শিক্ষা দফতর থাকলেও, কলকাতার বিকাশ ভবন থেকে নির্দেশ জারি করা হয়েছে। কলকাতা, দার্জিলিং মিলে দুর্নীতি করা হয়েছে। প্রতিটি চাকরির নিয়োগ খতিয়ে দেখা দরকার।’’

২০১৭ সালে বিনয় তামাং জিটিএ প্রশাসনিক বোর্ডের চেয়ারম্যান হন। বিনয় বলেন, ‘‘পুরোটাই হাস্যকর অভিযোগ। এর বাইরে কিছু বলছি না।’’ আর বর্তমান জিটিএ চিফ এগজিকিউটিভ অনীত থাপার দাবি, ‘‘বিজেপি বিধায়ক কী খুঁজতে চাইছেন জানি না। পাহাড়ের শিক্ষা ব্যবস্থা ঠিক নেই। স্কুলের শিক্ষক কম। স্বেচ্ছায় যাঁরা কাজ করতে এসেছিলেন, তাঁদের সরকারি নিয়মেই নিয়োগ করে দেওয়া হয়েছে। পাহাড়ের লোকেরাই কাজ করছেন। এতে দুর্নীতি কোথায়, কে জানে!’’

তৃণমূলের তরফেও বিজেপির সমালোচনা করা হয়েছে। দলের পাহাড় কমিটির চেয়ারম্যান লালবাহাদুর রাইয়ের পাল্টা দাবি, ‘‘পাহাড়ের ছেলেমেয়েদেরচাকরি নষ্ট করার চেষ্টা করছেন বিজেপি বিধায়ক।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE