নিজস্ব চিত্র।
মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর বিজেপি-তে ভাঙন। ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র এক পঞ্চায়েত সদস্য যোগ দিলেন তৃণমূলে। কংগ্রেস পরিচালিত এই গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৯ জন কংগ্রেসের, ৩ জন তৃণমূলের এবং বিজেপি-র এক জন। বিজেপি-র সদস্য বুধবার তৃণমূলে যোগ দেওয়ায় সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৪। আর সেই সঙ্গে পঞ্চায়েত দখলের দাবি জানালেন তৃণমূল নেতৃত্ব। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। যদিও তৃণমূলের এই দাবিকে কটাক্ষ করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান বিমানবিহারী বসাক। তাদের সদস্যের তৃণমূলের যোগদানের বিষয়টি গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি-ও।
সদ্য তৃণমূলে যোগ দেওয়া বিজেপি-র পঞ্চায়েত সদস্য অমল চন্দ্র সাহা বলেন, “তৃণমূলে যোগদান করতে পেরে খুব ভাল লাগছে। এই দল মা মাটি মানুষের দল। মানুষের জন্য কাজ করে। বিজেপি শুধু ভেদাভেদের রাজনীতি করে। ওখানে থাকতে পারছিলাম না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে তৃণমূলের একনিষ্ঠ কর্মী হয়ে কাজ করব। নিজের দায়িত্ব পালন করব।”
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, “ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি-র সদস্য অমল চন্দ্র সাহা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে তৃণমূলে যোগদান করলেন। আর অতি শীঘ্রই কংগ্রেস পরিচালিত এই পঞ্চায়েত আমরা দখল করব। কারণ কিছুদিন আগে এই পঞ্চায়েতের প্রধান ত্রাণ বন্টন নিয়ে দলবাজি করেছিলেন। যা নিয়ে ওই পঞ্চায়েতের অনেক সদস্য ক্ষুব্ধ। তারা প্রধান বদল করতে চাইছেন। আমরা সমস্ত আইনি প্রক্রিয়া মেনেই এই পঞ্চায়েত দখল করব।”
যদিও তৃণমূল নেতার এই প্রতিক্রিয়াকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন ভিঙ্গল গ্রাম পঞ্চায়েতের কংগ্রেস প্রধান বিমান বিহারী বসাক। তিনি পাল্টা বলেছেন, “আমরা যখন সংখ্যাগরিষ্ঠ সংখ্যা নিয়ে পঞ্চায়েত দখল করে ছিলাম তখনও তৃণমূল নেতৃত্ব বলেছিলেন পঞ্চায়েত ওঁদের। এখন বিধানসভা ভোট শেষ হতেই আবার বলছে। এ সব প্রোপাগান্ডা। আর বিজেপি-র সদস্য কোথায় গেল তা নিয়ে আমাদের মাথা ব্যাথা নেই। তবে বিজেপি-র সদস্যকে নিয়ে যদি তৃণমূলকে পঞ্চায়েত দখল করতে হয় তা তৃণমূলের জন্যই দুর্ভাগ্য। আমাদের সদস্যদের বহুবার ভয় দেখিয়েছে, টাকার প্রলোভন দেখিয়েছে। পঞ্চায়েত তো জনগণের, ওরা নিজের মনে করলে করুক। আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই।”
এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ বিজেপি। বিজেপি নেতা রূপেশ আগরওয়ালা বলেন, “বিজেপি-র সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি মুকুল রায় যদি ফের তৃণমূলে ফিরে যেতে পারেন। যিনি এর আগে কোনও দিন ভোটে জেতেননি। বিজেপি-র টিকিটে জিতলেন। ইনি তো সামান্য একজন পঞ্চায়েত সদস্য। মূলত তাঁরা কোনও দলের নয়। তাঁরা স্বার্থান্বেষী। যাঁরা বিজেপি-র প্রকৃত সৈনিক তাঁরা ছিল, আছে এবং থাকবেন।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy