Advertisement
E-Paper

দেওয়ানহাটে ধুন্ধুমার

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মুহুর্মুহু বোমা পড়ে। গুলি চলে বলেও সন্দেহ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৫ অগস্ট ২০১৯ ০৫:২২
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

কোচবিহারের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে টক্কর বজায় রইল স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালেও। এক দিকে দেওয়ানহাটে এলাকা দখল নিয়ে দু’পক্ষের সংঘর্ষে চলল গুলি, বোমাবাজি। এই ঘটনায় ৬ জন জখম হয়েছে। অন্য দিকে, তুফানগঞ্জ ১ ব্লকের নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েত পুনর্দখল করার দাবি জানাল তৃণমূল। যে ২২ জন পঞ্চায়েত সদস্য বিজেপিতে চলে গিয়েছিলেন কিছু দিন আগে, এ দিন তাঁদের ১৭ জন ফের তৃণমূলে যোগ দেন। সেই সঙ্গে এলাকায় ভাঙচুরও চলে।

দেওয়ানহাটে গোলমাল শুরু হয় বুধবার বিকেলে। লোকসভা ভোটের পরে ওই এলাকার দখল নিয়েছিল বিজেপি। সম্প্রতি ফের ওই জায়গা পুররুদ্ধার করে তৃণমূল। এ দিন বিজেপি ওই এলাকায় শান্তি মিছিলের ডাক দেয়। বিজেপির কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভার অভিযোগ, ‘‘বালাসি-র দিক থেকে দেওয়ানহাট বাজারের দিকে মিছিলটি যাচ্ছিল। সেই সময় পুলিশের সামনেই গুলি ও বোমা ছুড়তে শুরু করে তৃণমূল কর্মীরা। ওই ঘটনায় বেশ কয়েক জন বিজেপি কর্মী জখম হয়েছে।’’ তিনি বলেন, “এলাকায় সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে রাখাই তৃণমূলের উদ্দেশ্য।” তৃণমূলের কোচবিহার ১ নম্বর ব্লকের প্রাক্তন সভাপতি খোকন মিয়াঁর পাল্টা অভিযোগ, বিজেপি সশস্ত্র বহিরাগতদের নিয়ে গিয়ে দেওয়ানহাটে তৃণমূল কর্মীদের উপরে হামলা চালায়। তাতে তাঁদের বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছে। তিনি বলেন, “লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে সব জায়গায় বিজেপি অশান্তি তৈরির চেষ্টা করছে। এ দিনও পরিকল্পিত ভাবে গণ্ডগোল করা হয়।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মুহুর্মুহু বোমা পড়ে। গুলি চলে বলেও সন্দেহ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায়। ঘটনার পরে কোচবিহার-দিনহাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি কর্মীরা। কোচবিহারের পুলিশ সুপার সন্তোষ নিম্বলকর ওই বিষয়ে কিছু বলতে চাননি। জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, “ওই ঘটনায় উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে।”

অন্য দিকে, তুফানগঞ্জ এ দিন উত্তপ্ত ছিল দু’পক্ষের মধ্যে রেষারেষিতে। বুধবার স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের নেতৃত্বে নাককাটিগছ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ব্যাপারীপাড়া ১৭ জন সদস্য বিরাট মিছিল করে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রবেশ করেন। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত পুনরুদ্ধারের নামে পুলিশের উপস্থিতিতে ঠিক উল্টো দিকে থাকা বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ক্যাম্প গুঁড়িয়ে দেয় তৃণমূল।

মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, ‘‘নাককাটিগছ পঞ্চায়েত পুনর্দখলের কিছু নেই। ওটা আমাদেরই। আমাদের প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্যদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। তাই কিছু দিন তাঁরা অঞ্চলে যায়নি।’’

Political fight TMC BJP Cooch Behar Dewanhat
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy