মালদহ টাউন স্টেশনের দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী প্রতীক্ষালয় থেকে উদ্ধার হল তাজা বোমা। রবিবার রাতে ওই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে যাত্রী মহলে। স্টেশনের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। অভিযোগ, মালদহ ব্যস্ততম রেল স্টেশন গুলির মধ্যে একটি। অথচ এই স্টেশনে নেই মেটাল ডোর ডিটেক্টর। এমনকী, সিসিটিভিও অকেজো। যার জন্য অবাধেই দুষ্কৃতীরা স্টেশনে ঢুকে পড়ছে। তবে ঘটনার পর থেকে স্টেশনে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে বলে দাবি কর্তৃপক্ষের। মালদহের জিআরপির আইসি কৃষ্ণ গোপাল দত্ত বলেন, ‘‘রাতেই বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করা হয়েছে। কে বা কারা বোমা গুলি রেখে গিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
রেল পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন রাত ৮টা নাগাদ স্টেশনের ১ নম্বর প্ল্যাটফর্মে রুটিন তল্লাশি চালানো হচ্ছিল। এই সময়েই স্টেশনের দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের এক কোণে একটি স্কুল ব্যাগ সন্দেহজনক ভাবে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তখনই পুলিশ কুকুর নিয়ে আসা হয়। পরে ওই স্কুল ব্যাগ থেকে উদ্ধার হয় তিনটি তাজা বোমা। এরপরেই সিল করে দেওয়া হয় দ্বিতীয় শ্রেণির যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি। পরে সিআইডির বোম স্কোয়াডের কর্মীরা গিয়ে বোমাগুলি নিষ্ক্রিয় করে।
রেল পুলিশ জানিয়েছে, হাত বোমাগুলি যাতে ফেটে না যায়, তার জন্য ব্যাগের মধ্যে খড় ও পাথর মজুত ছিল। বোমাগুলি অন্যত্র নিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্যে কেউ বা কারা ব্যাগে করে বোমা নিয়ে এসেছিল বলে প্রাথমিক অনুমান রেল পুলিশের। বোমা উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন যাত্রীরা। কারণ তাঁদের অভিযোগ, নিরাপত্তার ন্যূনতম ব্যবস্থাও নেই মালদহ টাউন স্টেশনে। বছর তিনেক ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে মেটাল ডোর ডিটেক্টর। ফলে যাত্রীদের ব্যাগ পরীক্ষা করার কোনও ব্যবস্থাই নেই। সিসিটিভি না থাকার ফলে প্ল্যাটফর্মে বোমা সহ ব্যাগটি কে বা কারা রেখে গিয়েছে তা চিহ্নিত করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে রেলপুলিশকে। তবে ঘটনার পর থেকে স্টেশনে জিআরপির পাশাপাশি বাড়তি আরপিএফও নিয়োগ করা হয়েছে। মালদহ ডিভিশনের ডিআরএম মোহিত কুমার সিংহ বলেন, ‘‘ঘটনার তদন্ত চলছে। নিরাপত্তা বাড়ানোর প্রক্রিয়াও চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy