Advertisement
E-Paper

প্রশাসনের সঙ্গে দ্বন্দ্বে কর্মবিরতির ডাক

শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে আইনজীবীদের প্রতিবাদ মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার মধ্যরাতে আইনজীবী এবং প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত রবিবার সকালে মঞ্চ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০২:৫৬
দ্বন্দ্ব: এই বিক্ষোভ মঞ্চ ভাঙা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। নিজস্ব চিত্র

দ্বন্দ্ব: এই বিক্ষোভ মঞ্চ ভাঙা নিয়েই সমস্যার সূত্রপাত। নিজস্ব চিত্র

শিলিগুড়ি আদালত চত্বরে আইনজীবীদের প্রতিবাদ মঞ্চ ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে শনিবার মধ্যরাতে আইনজীবী এবং প্রশাসনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে জেলাশাসক জয়সী দাশগুপ্ত রবিবার সকালে মঞ্চ গড়ে দেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে তা হয়নি বলে দাবি আইনজীবীদের। রবিবার থেকেই কর্মবিরতি শুরু করেন আইনজীবীরা। সোমবারও শিলিগুড়ি আদালতে কর্মবিরত কর্মসূচি চলবে।

এ প্রসঙ্গে ডিসি (পূর্ব) গৌরব লাল বলেন, ‘‘দু’টি মামলা দায়ের হচ্ছে।’’ বার অ্যাসোসিয়েশনের তরফে বিদিশা দে এগ্‌জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়র চন্দন ঝা এবং এগ্‌জিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট কিংশুক মাইতি-সহ সরকারি ঠিকাদার সংস্থার কয়েকজনের বিরুদ্ধে মঞ্চ ভাঙার অভিযোগ দায়ের করেছেন। কিংশুক বারের কয়েকজন সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা ও আটকে রাখার অভিযোগ করেছেন। প্রায় দেড় মাস হল মঞ্চ বেঁধে আন্দোলন করছিলেন আইনজীবীরা। শনিবার রাতে প্রশাসন ওই মঞ্চ ভেঙে দিতে গেলে আইনজীবীরা চন্দন এবং কিংশুককে আটকে রাখেন বলে অভিযোগ। পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে।

বার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিদিশা দে বলেন, ‘‘আদালতের জমিতে রাত দশটার পর ভাঙতে আসা বেআইনি।’’

প্রশাসনের দাবি, যেখানে মঞ্চ তৈরি হয়েছে, সেখানে এসডিও দফতরের কাজ হওয়ার কথা। জেলাশাসক বলেন, ‘‘আইনজীবীরা ঠিক কী চাইছেন, তা অস্পষ্ট। এসডিও পুরনো অফিস ভাঙা হল, সেখানে একটি মঞ্চ তৈরি হল। এটাও তো অনুচিত।’’ প্রশাসন মঞ্চটি সম্পূর্ণ ভাবে তৈরি করেনি বলেও অভিযোগ। বিদিশা বলেন, ‘‘একইসঙ্গে এসডিও অফিস এবং ভবনও তৈরি হোক।’’

প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তে কয়েকটি প্রশ্ন উঠে এসেছে— প্রথমত, সরকারি নথি অনুযায়ী, আদালত চত্বর আদালতেরই সম্পত্তি। আদালতের অনুমতি ছাড়া কী ভাবে প্রশাসন মঞ্চ ভাঙতে পারে। এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক জয়সী বলেন, ‘‘এসডিও অফিসের এলাকাতেই যা করার করেছি, আদালত চত্বরে হাত দেইনি।’’ সোমবার তাঁর সঙ্গে আইনজীবীদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা।

আদালত চত্বরে পুরনো ভবনটি ২০১১ সালে ভাঙা হয়। গত বছর মহকুমাশাসকের দফতর ভেঙে পড়েছে। মহকুমাশাসকের দফতর তৈরি শুরু হলেও ভবনও তৈরির কোনও পরিকল্পনাই নেই সরকারের। আদালত ভবন না থাকায় সমস্যায় পড়েছেন বিচারপ্রার্থীরা। আইনজীবীদের দাবি, সরকার দু’টোই একসঙ্গে করুক।

Lawyer Authority break in service
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy