চিকিৎসক চাকরি ছেড়ে চলে যাওয়ায় সাত মাস ধরে শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ক্যানসারের চিকিৎসা পরিষেবা বন্ধ হয়ে পড়েছে। শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে বহির্বিভাগে সপ্তাহে দুই দিন ক্যানসার রোগীরা চিকিৎসা এবং ‘ডে কেয়ার’-এ কেমোথেরাপি নিতে পারতেন। তা ছাড়া ‘কনসালটেশন’ পরিষেবা মিলত। তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন রোগীদের অনেকেই। অনেককে এখন নিরুপায় হয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে যেতে হচ্ছে। সেখানে রোগীর ভিড় হওয়ায় সমস্যা বাড়ছে।
দার্জিলিং জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তুলসী প্রামাণিক বলেন, ‘‘নতুন এক ক্যানসার বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে স্বাস্থ্য দফতর থেকে পাঠানো হয়েছে। দ্রুত পরিষেবা মিলবে।’’
হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের একটি সূত্রেই জানা গিয়েছে, তাঁদের হাসপাতালে ওই পরিষেবা খুব ভাল ভাবেই চলছিল। আচমকা গত ডিসেম্বর মাসে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক, ক্যানসার বিশেষজ্ঞ ধীমান দাস চাকরি ছেড়ে দেন। তাতেই বিপত্তি ঘটে। রাতারাতি বন্ধ হয়ে যায় ক্যানসারের চিকিৎসা পরিষেবা। হাসপাতাল সুপার চন্দন ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা স্বাস্থ্য দফতরকে বিষয়টি জানানোর পরে নতুন এক জন অঙ্কোলজিস্ট দেওয়া হয়েছে। তিনি মঙ্গলবার কাজে যোগ দিয়েছেন। ফের ক্যানসারের পরিষেবা চালু হবে।’’ তবে ঠিক কবে থেকে তা চালু হবে তা এখনও নিশ্চিত করে জানানো হয়নি।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহখানেকের মধ্যে চেষ্টা চলছে পরিষেবা চালুর। এত দিন চিকিৎসক ধীমান দাসের অধীনেই এই পরিষেবা চলছিল। সপ্তাহে দুই দিন, বুধ এবং শুক্রবার বহির্বিভাগে ক্যানসারের রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতেন তিনি। দুই দিন মেডিসিনের বহির্বিভাগে রোগী দেখতেন। শুক্রবার টিউমার বোর্ডের মিটিং বসত তাঁর নেতৃত্বেই। ওই দিন সেখানেও ক্যানসারের রোগীরা দেখাতেন। সপ্তাহে ১৫-২০ জন রোগী আসতেন। তা ছাড়া বাইরে চিকিৎসা করিয়েও অনেকে এই হাসপাতালে কেমোথেরাপি নিতেন। ‘ডে কেয়ারে’ ভর্তি করিয়ে তাদের কেমো দেওয়া হত। শহরের মধ্যে এই পরিষেবা মেলায় রোগীদেরও সুবিধা হত। রোগীদের পরিবারের একাংশ জানান, শিলিগুড়ি জেলা হাসপাতালে ‘ডে কেয়ার’ বন্ধ হওয়ায় সমস্যা হচ্ছে। দ্রুত ফের সেখানে পরিষেবা চালু হলে ভাল হয়।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)