জয়প্রকাশ নারায়ণ, লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং কোচবিহার জেলা বিজেপির প্রথম সারির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে খুনের চক্রান্ত-সহ একাধিক ধারায় চারটি মামলা দায়ের হল।
শনিবার রাতেই দিনহাটা ও সাহেবগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে দু’টি মামলা পুলিশ করেছে। সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া, পুলিশ কর্মী ও সিভিক ভলেন্টিয়ারকে মারধর এবং অনুমতি না নিয়ে একশোটির বেশি বাইক নিয়ে মিছিল করে দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এ ছাড়াও নাজিরহাট ও ভেটাগুড়ির দুই তৃণমূল কর্মী পৃথক ভাবে দু’টি এফআইআর করেছে। ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১২ জন কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
কোচবিহারের পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল জানান, বাকি অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চলছে।
ওই মামলা এবং ধরপাকড়ের ঘটনায় বিজেপি নেতৃত্ব ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। বিজেপি নেত্রী অভিযোগ করেন, ‘‘পুলিশ বলেছে তাঁরা আমাদের পিছনে ছিলেন। তা হলে আমরা যদি কাউকে খুনের চক্রান্ত করতাম বা কারও উপর হামলা করতাম, তাহলে আমাদের আটকাল না কেন।”
শনিবার বিজেপি নেতানেত্রীদের দিনহাটা সফরের সময় ভেটাগুড়ি ও নাজিরহাটে তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। বিজেপির অভিযোগ, নেতা নেত্রীরা দিনহাটা ছাড়ার পর থেকেই বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে হামলা শুরু হয়েছে। নাজিরহাট, ভেটাগুড়ি সহ দিনহাটার বিভিন্ন এলাকায় সারা রাত ধরে ৩০ জন বিজেপি কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর হয়। একাধিক পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এমনকী বেশ কিছু বাড়ি লুঠ হয়েছে বলেও অভিযোগ। বিজেপির কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি ব্রজগোবিন্দ বর্মনের বাড়ি ও পোলট্রি ফার্ম ভাঙচুর করে লুঠ করা হয়।
তৃণমূলের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক তথা দিনহাটার বিধায়ক উদয়ন গুহ বিজেপির তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, বিজেপির হাতে যদি কোনও প্রমাণ থাকে, তা প্রকাশ্যে আনুক। তিনি বলেন, “বিজেপি যে ভাবে তাদের এক নেত্রীর নেতৃত্বে জায়গায় জায়গায় হামলা চালিয়েছে, তার পরেও দিনহাটা শান্ত আছে। সাধারণ মানুষ ওই ঘটনাকে মেনে নেয়নি। তার পরে দুই-এক জায়গায় যে উত্তেজনা হয়েছে তা ভূমিকম্পের পরে আফটার শক।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy