Advertisement
২৯ মার্চ ২০২৩
Mid Day Meal

‘গুগল ম্যাপে’ স্কুলে, তদন্ত

শিলিগুড়ি থেকে জেলায় আসেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য বিজয় ভাস্কর, অনিন্দিতা শুক্ল এবং ভূপেন্দ্র কুমার।

আলাল হাই স্কুলে মিড-ডে মিল খেয়ে দেখছেন প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র

আলাল হাই স্কুলে মিড-ডে মিল খেয়ে দেখছেন প্রতিনিধিরা। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
গাজল শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:৪৬
Share: Save:

‘কনভয়’-এর সামনে পুলিশের পাইলট ভ্যান। ‘কনভয়’-এ শামিল ব্লক থেকে জেলা প্রশাসনের একাধিক আধিকারিকদেরও গাড়ি। তার পরেও, ‘গুগল ম্যাপ’ খুঁজে স্কুলে পৌঁছল কেন্দ্রীয় দল। বৃহস্পতিবার মালদহের গাজল, সামসি এবং মালতীপুরের একাধিক স্কুলে মিড-ডের মান যাচাই করে তারা। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর টুইটের (‘বাছাই করা স্কুলে রাজ্য সরকারি আধিকারিকেরা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদের নিয়ে যাচ্ছেন’) পরেই কি স্কুল খুঁজতে ‘গুগল ম্যাপ’-এর সাহায্য কেন্দ্রীয় দলের, উঠছে প্রশ্ন। এ নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি দলের কোনও প্রতিনিধিই।

Advertisement

শিলিগুড়ি থেকে জেলায় আসেন কেন্দ্রের প্রতিনিধি দলের তিন সদস্য বিজয় ভাস্কর, অনিন্দিতা শুক্ল এবং ভূপেন্দ্র কুমার। তাঁদের সঙ্গেই আসেন রাজ্যের মিড-ডে মিল বিভাগের দুই কর্তা ঋদ্ধি মুখোপাধ্যায় ও টিকে অধিকারী। এ দিন সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ পুরাতন মালদহের নারায়ণপুরের বেসরকারি এক হোটেল থেকে গাজলে রওয়ানা দেন প্রতিনিধিরা। প্রথমেই তাঁরা পৌঁছন গাজলের শ্যামসুখী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ে। ছাত্রীদের সঙ্গে মিড-ডে মিল নিয়ে কথা বলেন। রাঁধুনি এবং স্কুল কর্তৃপক্ষের সঙ্গেও বৈঠক করেন তাঁরা।

প্রশাসনের দাবি, শ্যামসুখীর পাশের আর একটি স্কুলে দলের যাওয়ার কথা থাকলেও, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা হাজির হয়ে যান গাজলের প্রত্যন্ত আলাল হাই স্কুলে। ছাত্র-ছাত্রীদের উচ্চতা, ওজন মেপে দেখেন তাঁরা। এর পরে, রান্না হওয়া ভাত, ডাল এবং আলু-সয়াবিনের তরকারিও খান। মালতীপুর এবং সামসির আরও একটি করে স্কুলে গিয়ে মিড-ডের মান যাচাই করেন তাঁরা।

চারটি স্কুলেই রাঁধুনিরা এপ্রন, গ্লাভস, টুপি পরে রান্না থেকে খাবার পরিবেশন করেন। শ্যামসুখী স্কুলের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষিকা সঙ্গীতা সাহু বলেন, “আমরা কেন্দ্রীয় দলকে সব রকম সহযোগিতা করেছি।” উত্তর মালদহে পরিদর্শনের মধ্যেই মিড-ডে মিল নিয়ে কারচুপির অভিযোগ ওঠে বৈষ্ণবনগরের গুরুটোলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। খাতায় কলমে ৩৯৬ জন ছাত্র-ছাত্রী থাকলেও, এ দিন স্কুলে ১৩০ জন উপস্থিত ছিল। অথচ, মেনু বোর্ডে ২৩০ জন ছাত্র-ছাত্রী দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এর পরেই, প্রধান শিক্ষক মতিউর রহমানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকেরা। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। মতিউর বলেন, “বোর্ডে ভুল করে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বেশি লেখা হয়েছে।” খতিয়ে দেখা হচ্ছে, জানান মিড-ডে মিল বিভাগের জেলা আধিকারিকেরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.