বাড়িতে ঢুকে পড়েছিল গাড়ি। বাড়ির অংশ ভেঙে যাওয়ায় মা-বাবার সঙ্গে জখম হয়েছিল ছ’বছরের শিশু দীপ পোদ্দার। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে তার মৃত্যুর পরে তুলকালাম হল মালদহের ইংরেজবাজারের মিলিক-আড়াপুরে। টায়ার জ্বালিয়ে মালদহ-পুখুরিয়া সড়ক অবরোধ করেন বাসিন্দারা। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশকর্মীদের তাড়া করে তাঁদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয় বলে অভিযোগ। সামাল দিতে পুলিশ লাঠি চালায়, কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় বলে দাবি। শুক্রবারও এলাকায় পুলিশ পিকেট, টহলদারি ছিল। পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে। তদন্ত চলছে।’’
সূত্রের খবর, বুধবার রাত ১১টা নাগাদ মিলিক-আড়াপুরে একটি গাড়ি ঢুকে পড়ে রাস্তার পাশেররতন পোদ্দার নামে এক জনের বাড়িতে। বাড়ির একাংশ ভেঙে জখম হন রতন, তাঁর স্ত্রী বিধু ও শিশুপুত্র দীপ। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁদের মালদহ মেডিক্যালে ভর্তি করান।
ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশকর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মালদহ মেডিক্যালে দীপের মৃত্যু হয়। এর পরে এলাকাবাসী অবরোধ করেন। তা তুলতে গেলে জনতা পুলিশের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ। পুলিশ দুর্ঘটনা ঘটানো গাড়ির চালক আরশাদ শেখকে গ্রেফতার করে। আদালত ধৃতকে ছ’দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠিয়েছে।
মালদহ মেডিক্যালে এ দিন মৃত শিশুর ময়না তদন্ত হয়। রতনকে ছেড়ে দেওয়া হলেও, তাঁর স্ত্রীকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে কলকাতার হাসপাতালে ‘রেফার’ করা হয়েছে। রতন বলেন, ‘‘একমাত্র ছেলেকে হারালাম! দোষীর শাস্তি চাই।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)