অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুত্রসন্তানের জন্ম দিয়েছিলেন মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার সীমা দাস। কোলেও নিতে পারেননি সদ্যোজাতকে। স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তারক্ষী থাকা সত্ত্বেও মালদহ মেডিক্যাল থেকে চুরি হয়ে গিয়েছিল তাঁর সন্তান। ঘটনার পর কেটে গিয়েছে একমাস। এখনও হদিশ মেলেনি শিশুর। হাসপাতালে, থানায় ছুটেছেন সীমা ও তাঁর স্বামী বিদ্যাসাগর। সীমার কথায়, “শুনেছি, হাসপাতাল থেকে চুরি যাওয়া তিন দিনের শিশুও উদ্ধার হয়েছে তিন বছর পরে। আমাদের সন্তানের খোঁজ কেন মিলছে না?’’ তবে পুলিশ জানিয়েছে, তল্লাশি চলছে।
গত ১০ এপ্রিল ওই হাসপাতালের মাতৃমা বিভাগ থেকে সীমার শিশু চুরির ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই হইচই পড়ে যায় জেলা জুড়ে। এর আগেও একাধিক বার শিশু চুরি হয়েছে হাসপাতাল থেকে। মাতৃমার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ থেকে শিশু চুরির ঘটনায় কর্তৃপক্ষের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, মাতৃমা বিভাগ জুড়ে বসানো রয়েছে সিসি ক্যামেরা। সদর গেটে রয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। ওয়ার্ডের বাইরেও মোতায়েন নিরাপত্তারক্ষী। রোগীর আত্মীয়দেরই ঠিক মতো ঢুকতে দেওয়া হয় না। রোগীর পরিজনদের দাবি, ঘটনার পিছনে কোনও চক্র জড়িত। সেই চক্রই সক্রিয় ওই ঘটনায়।
এ দিকে বিদ্যাসাগর বলেন, “তেলেভাজা বিক্রি করে সংসার চালাই। ফরাক্কা থেকে ৩৫ কিলোমিটার দূরে মালদহে আসতে দোকান বন্ধ রাখতে হচ্ছে। তার পরেও ছেলের খোঁজে নিয়মিত ছুটছি।’’ সীমা বলেন, “অস্ত্রোপচার হওয়ায় ছেলেকে কোলেও নিতে পারিনি। তার মধ্যেই সকলের সামনে দিয়ে চুরি হয়ে গেল।’’ সুপার অমিতকুমার দাঁ বলেন, “সিসিটিভি ফুটেজ পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। ওই ওয়ার্ডে সিসিটিভির সংখ্যাও বাড়ানো হচ্ছে।” পুলিশ সুপার অজয় প্রসাদ বলেন, “তদন্ত চলছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy