এক চিকিৎসক ও তার সহযোগীদের মারধরের অভিযোগ থানায় জানিয়ে বেড়িয়ে আসছেন আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। সোমবার। নিজস্ব চিত্র
জেলা হাসপাতালের এক চিকিৎসকের নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধল আলিপুরদুয়ারে। আর সেই বিতর্কে নাম জড়ালো কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণের।
জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, সুবীর দাস নামে ওই চিকিৎসক তাঁদের কাছে অভিযোগে জানিয়েছেন, রবিবার রাতে তিনজন সহায়ককে নিয়ে রোগী দেখে আলিপুরদুয়ারে ফিরছিলেন। দমনপুর চেকপোস্টের কাছে একটি গাড়ি তাঁদের পথ আটকায়। গাড়ি থেকে একজন পুলিশের পোশাকে ও একজন সাদা পোশাকে বেরিয়ে আসেন। তারপর তাঁদের প্রত্যেককে মারধর করেন ওই দু’জন। ওই চিকিৎসকদের অভিযোগ, সুবীর দাস তাঁদের জানিয়েছেন, গাড়ির ভিতর থেকে নিজেকে কালচিনির বিডিও বলে একজন পরিচয় দেন এবং তিনি বাকিদের প্ররোচিত করে যাচ্ছিলেন। সুবীরের কথা অনুযায়ী এই সংক্রান্ত একটি এফআইআর তাঁরা আলিপুরদুয়ার থানায় জমা করেছেন। তবে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ আধিকারিকরা এ নিয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। সুবীরের সহকর্মীরা জানিয়েছেন, পাজরের হাড় ভেঙে এই মুহূর্তে ওই চিকিৎসক জেলা হাসপাতালের সিসিইউ-তেভর্তি রয়েছেন।
যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে, তিনি কালচিনির বিডিও প্রশান্ত বর্মণ। যাঁকে নিয়ে অনেকদিন ধরেই নানা বিতর্ক চলছে। তবে সেই প্রশান্ত বলেন, “জরুরি প্রশাসনিক কাজ সেড়ে জঙ্গলপথ ধরে কালচিনির দিকে যাচ্ছিলাম। রাস্তায় কয়েকজনকে অস্বাভাবিক অবস্থায় দেখি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের পুলিশের হাতে তুলে দিই।” এ নিয়ে একটি ভিডিয়ো-ও সোমবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। যাতে একটি গাড়িকে ঘিরে একাধিক জনকে অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা বা সেই ভিডিয়োর সঙ্গে এই ঘটনার কোনও সম্পর্ক রয়েছেকিনা,তা যাচাই করে দেখেনি আনন্দবাজার পত্রিকা।
তবে আইএমএ-র সঙ্গে যুক্ত চিকিৎসকদের একাংশ জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে তাঁরা আজ, মঙ্গলবার আলিপুরদুয়ারের জেলাশাসকের দ্বারস্থ হবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy