E-Paper

উপাচার্যের ক্ষমতা প্রয়োগ করে ‘অনিয়ম’

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর শেষ অস্থায়ী উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন একটি নির্দেশিকা (অ্যাডভাইজ়রি) দেন।

সৌমিত্র কুন্ডু

শেষ আপডেট: ০৬ জুলাই ২০২৫ ০৬:৪৮
উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।

উপাচার্যহীন বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের ক্ষমতা প্রয়োগ করে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিকদের একাংশ নানা কাজ করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে অনিয়মের অভিযোগও তুলছেন শিক্ষক থেকে কর্মচারী সংগঠনের অনেকে। তার মধ্যে মৃতের পোষ্যকে চাকরি দেওয়া থেকে কর্মীদের ১০ শতাংশ বেতন বৃদ্ধি, পরীক্ষা নিয়ামক বিভাগ থেকে ‘কনফিডেন্সিয়াল অ্যাকাউন্ট’-এর কয়েক কোটি টাকা বিল মেটানোর মতো নানা বিষয়ও রয়েছে। নতুন উপাচার্য এলে নিয়মমাফিক সেগুলি কর্মসমিতিতে পেশ করিয়ে পাশ করাতে হবে। কিন্তু নতুন উপাচার্য যদি তাতে সম্মত না হন, তা হলে কী হবে সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রেই জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের ১০ অক্টোবর শেষ অস্থায়ী উপাচার্য সিএম রবীন্দ্রন একটি নির্দেশিকা (অ্যাডভাইজ়রি) দেন। সেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের চার জন আধিকারিক অস্থায়ী রেজিস্ট্রার, ডিন, অস্থায়ী ফিনান্স অফিসার, পরীক্ষা সমূহের নিয়মককে সংশ্লিষ্ট কাজ দেখভাল করার নির্দেশ দেন। আধিকারিকদের একাংশের মতে, তাতে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সম্মতি ছাড়া কোনও সিদ্ধান্ত কার্যকর হতে পারে না।

আগামী ১৪ এবং ১৫ জুলাই বোর্ড অব রিসার্চ স্টাডিজ (বিআরএস)-এর বৈঠক ডাকা হয়েছে। ৩০টির মতো গবেষণাপত্রের অনুমোদন ঝুলে রয়েছে। বিআরএসের চেয়ারম্যান হন উপাচার্য। তার নেতৃত্বেই ওই বৈঠক হয়। উচ্চ শিক্ষা দফতর কোনও লিখিত অনুমতি দেয়নি। নতুন অস্থায়ী রেজিস্ট্রার ভাস্কর বিশ্বাস বলেন, ‘‘আগে কী কী বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে জানা নেই। তবে এখন অর্থকরী কোনও বিষয়ে কিছু করা হচ্ছে না। পড়ুয়াদের ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে বিআরএস-এর বৈঠক ডাকা হয়েছে। উচ্চ শিক্ষা দফতর মৌখিক ভাবে সম্মতি দিয়েছে।’’

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সম্পাদক অর্ধেন্দু মণ্ডল বলেন, ‘‘যেটুকু কাজ নিয়মের মধ্যে পড়ে শুধু তা করাই উচিত। তার বাইরে যাতে কেউ কিছু না করেন সেটাই বাঞ্ছনীয়। নতুন উপাচার্য অনিয়ম বলে কিছু সম্মতি না দিলে তখন সকলেই বিপাকে পড়বেন।’’ একই মত বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারী সমিতি সম্পাদক সুমন চট্টোপাধ্যায়েরও।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Siliguri

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy