Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আসন কমিয়ে ‘দুর্নীতি’, নালিশ

অনার্সের আসন সংখ্যা কম দেখিয়ে বেশ কিছু কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারে৷ জেলার বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, পরবর্তীতে মোটা টাকায় বিক্রি করতে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কথাতেই এমনটা করছে জেলার কোনও কোনও কলেজ৷

নিজস্ব সংবাদদাতা
আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০১ জুলাই ২০১৮ ০৮:১০
Share: Save:

অনার্সের আসন সংখ্যা কম দেখিয়ে বেশ কিছু কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠল আলিপুরদুয়ারে৷ জেলার বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগ, পরবর্তীতে মোটা টাকায় বিক্রি করতে শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কথাতেই এমনটা করছে জেলার কোনও কোনও কলেজ৷ যদিও এই অভিযোগ মানতে চায়নি জেলার কলেজগুলি৷ অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতারাও৷

সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী আলিপুরদুয়ারে সব কলেজে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে৷ সরকারি নির্দেশে সব কলেজেই এবার অন লাইন প্রক্রিয়াতেই ভর্তি চলছে৷ কিন্তু বিরোধী ছাত্র সংগঠনের নেতাদের অভিযোগ, অনলাইন প্রক্রিয়া চললেও আলিপুরদুয়ার কলেজের কিছু কলেজে ভর্তি নিয়ে অনিয়ম চলছেই৷ এসএফআইয়ের জেলা সম্পাদক দীপক বর্মনের অভিযোগ, আলিপুরদুয়ারে এখনো পর্যন্ত অর্থের বিনিময়ে ভর্তির অভিযোগ আমাদের কাছে কেউ করেনি৷ কিন্তু জেলার কয়েকটি কলেজে যেসব বিষয়ে অনার্সের চাহিদা বেশি সেগুলির ক্ষেত্রে ভর্তির সময় আসন সংখ্যা কম দেখানো হচ্ছে৷ সেই কম দেখানো আসনগুলি তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের জন্য ছেড়ে রাখা হচ্ছে৷ যাতে করে পরবর্তীতে তারা অর্থের বিনিময়ে নিজেদের পছন্দমত ছাত্র-ছাত্রীকে সেই বিষয়ে তারা ভর্তি করাতে পারে৷ দীপকবাবু বলেন, ‘‘বিষয়টি রুখতে খুব শীঘ্রই আমরা জেলা প্রশাসনের কর্তাদের কাছে স্মারকলিপি জমা দেব৷’’

যদিও এমন অভিযোগের কথা মানতে চাননি আলিপুরদুয়ারের কোন কলেজ কর্তৃপক্ষই৷ আলিপুরদুয়ার কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জ্যোতিবিকাশ নাথ বলেন, ‘‘অন্য কলেজে কী হচ্ছে জানি না৷ তবে আমাদের কলেজে সেই সম্ভাবনা নেই৷ আমাদের কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া একেবারেই স্বচ্ছভাবে হচ্ছে৷ কোন বিষয়ে অনার্সের কত আসন থেকে শুরু করে ভর্তির যাবতীয় প্রক্রিয়া অন লাইনে ছাত্র-ছাত্রীরা নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন৷’’ একই কথা বলেন বিবেকানন্দ কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ গোবিন্দ রাজবংশীও৷

বিরোধী ছাত্র সংগঠনের অভিযোগকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছেন টিএমসিপি-র নেতারাও৷ সংগঠনের জেলা সভাপতি বাবলু কর বলেন, ‘‘যাঁরা এ ধরনের অভিযোগ তুলছেন, তাদের এবারের ভর্তি সম্পর্কে কোন ধারণাই নেই৷ কারণ ধারণা থাকলে এধরণের হাস্যকর অভিযোগ তারা তুলতেন না৷

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

College Admission Bribe Seats
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE