প্রতীকী ছবি।
তৃণমূলের জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মনের গাড়ি থেকে টেনে নামিয়ে দলের এক প্রাক্তন ব্লক সভাপতিকে ছুরি মারার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার রাত ৮ টা নাগাদ মেখলিগঞ্জের চ্যাংরাবান্ধা এলাকার ঘটনা। পুলিশ সূত্রের খবর, জখম ব্যক্তির নাম লক্ষ্মীকান্ত সরকার। তাঁকে জলপাইগুড়ি জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। রাতে তাঁকে শিলিগুড়ি রেফার করা হয়। তাঁর পরিবারের অভিযোগ, দলের কিছু লোকজন ঘটনার পিছনে রয়েছে। কোচবিহারে পুলিশ সুপার অনুপ জায়সবাল বলেন, ‘‘একটা গণ্ডগোল হয়েছে। কী ভাবে ওই নেতা জখম হলেন তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
তৃণমূল সূত্রের খবর, লক্ষ্মীবাবু জলপাইগুড়ির সাংসদ বিজয় বর্মনের গাড়িতে ছিলেন। পুজো উদ্বোধনে যাওয়ার সময় ওঁর গাড়িতে কে উঠবেন, তা নিয়ে বচসা হয়। তার পরে তাঁকে ছুরি মারা হয় বলে অভিযোগ। সাংসদ বিজয়বাবু বলেন, ‘‘একটা রেষারেষি ছিল, কিন্তু এমনটা হবে ভাবতে পারিনি। এটা ঠিক হয়নি। রাজ্য নেতৃত্বকে জানাব।’’
বিজয়বাবু জানান, তিিন এ দিন সন্ধ্যায় একটি পুজোর উদ্বোধন করতে চ্যাংরাবান্ধায় যান। সেখানে ছিলেন ওই এলাকার ব্লক সভাপতি তপন দাম। তপনবাবুর সঙ্গে তিনি আতসবাজিও পোড়ান। তারপরে হিন্দু-মুসলিম যৌথ উদ্যোগের একটি পুজোতেও যান তিনি। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গ নেন লক্ষ্মীকান্তবাবু। লক্ষ্মীকান্তবাবু বিজয়বাবুর সঙ্গে মঞ্চেও ছিলেন। তারপরে অন্য একটি পুজোর দিকে যাওয়ার সময় বিজয়বাবুর গাড়িতে ওঠেন লক্ষ্মীকান্তবাবু। বিজয়বাবু বলেন, ‘‘তপন বলে লক্ষ্মীকান্ত দলের অনেরক ক্ষতি করেছে। ওকে যেন গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়। গাড়ির পিছনে লক্ষ্মীর পাশে এক সাংবাদিক ছিলেন। তিনি নেমে পড়লে লক্ষ্মীকে ওরা টেনে নামায়। আমি নেমে থামাই। তেখি লক্ষ্মীর পেটে রক্ত। ও বলে ওকে গুলি করা হয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ এলে তপনরা পালিয়ে যায়।’’ বিজয়বাবুর বক্তব্য, ‘‘তপনের সঙ্গে লক্ষ্মীকান্তের আগে থেকেই রেষারেষি ছিল।’’
তৃণমূলের কোচবিহার জেলার সহ সভাপতি আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, ‘‘দলের কেউ ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
দলীয় সূত্রের খবর, জখম নেতা কোচবিহার জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ঘনিষ্ঠ পরিচিত। মেখলিগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান দলের অন্দরে রবিবাবুর বিরুদ্ধ গোষ্ঠী বলে পরিচিত। বিধায়ক বলেন, ‘‘গন্ডগোলের খবর শুনেছি। দলের অনুষ্ঠানে আছি। খোঁজ নিচ্ছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy