অশোক ভট্টাচার্য।
শিলিগুড়ির বর্তমান পুরবোর্ডের মেয়াদ শেষ হবে ১৭ মে। তার পরে থেকে পুরসভার দায়িত্বে আসবে প্রশাসক বোর্ড। রাজ্য সরকারের তরফে বর্তমান মেয়র অশোক ভট্টাচার্যকে প্রশাসক বোর্ডের মাথায় রাখা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু বোর্ড কমিটিতে আনা হয়েছে তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরকেও। যার বিরোধিতা করা হয়েছে বামেদের তরফ থেকে। তাদের অভিযোগ, এখনও পর্যন্ত রাজ্যের যে যে পুরসভায় প্রশাসক বোর্ড করা হয়েছে সেখানে বোর্ড কমিটিতে বিরোধী দলের একজন প্রতিনিধিকেও রাখা হয়নি। জলপাইগুড়ি পুরসভার প্রশাসক বোর্ডেও কোনও বিরোধী কাউন্সিলরের জায়গা হয়নি। বামেদের দাবি, শিলিগুড়ি পুরসভা যেহেতু বামেদের দখলে তাই প্রতিহিংসাবশত একমাত্র এখানেই এমন ব্যবস্থা করা হল। এই নির্দেশিকা প্রত্যাহার করে অন্য পুরসভাগুলোর ক্ষেত্রে যে ভাবে প্রশাসক বোর্ড হয়েছে শিলিগুড়ির ক্ষেত্রেও সেই দাবি জানানো হয়েছে।
শিলিগুড়ি পুরসভার জন্য যে প্রশাসক বোর্ড গঠন করা হয়েছে তার মাথায় রয়েছেন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। বোর্ডে বাম কাউন্সিলর ছাড়াও, শিলিগুড়ি পুরসভার বিরোধী দলনেতা তৃণমূলের রঞ্জন সরকার ও আরও চার তৃণমূল কাউন্সিলর রয়েছেন। যা প্রত্যাখান করে মেয়রের তরফে পুরমন্ত্রীকে চিঠি দেওয়া হবে বলে সূত্রের খবর। এই পরিস্থিতিতে প্রশাসক বোর্ড নিয়ে জটিলতা তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।
পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘কলকাতা পুরসভায় আমিও বিরোধী কাউন্সিলরদের কোঅর্ডিনেটর হিসাবে নিয়ে কাজ করব। অশোকবাবু যদি সংকীর্ণ দলীয় কথা ভাবেন তা হলে তিনি দায়িত্ব নেবেন না। আর মানুষের পরিষেবার কথা ভাবলে এই দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন।’’
মেয়র বলেন, ‘‘অন্যান্য পুরসভাতে বিদায়ী পুরবোর্ডকে রেখেই প্রশাসক বোর্ড করা হয়েছে। ওঁর সৎসাহস থাকলে কলকাতায় যারা বিরোধী দলে রয়েছেন তাঁদের বোর্ডে রাখতেন। শিলিগুড়ির ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমী নির্দেশিকা গ্রহণ করার প্রশ্নই নেই।’’ আরও বলেন, ‘‘পর্যটনমন্ত্রী বলেছিলেন রাজ্য নিরপেক্ষ ভাবে প্রশাসক বোর্ড গড়ছে। কতটা নিরপেক্ষ নিজেরাই দেখুন।’’
পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘নীতির কথা তাঁদের মুখে মানায় না। করোনা পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করবেন কি না তাঁদের ভাবতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy