প্রতীকী ছবি।
আলাদা রাষ্ট্র গড়ার ডাক দিয়ে কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশন নেতার পরিচয়ে করা ভিডিয়ো নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর শুরু হল। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ভিডিয়োয় (আনন্দবাজার সত্যতা যাচাই করেনি) কেএলও-র বিদেশ সচিব পরিচয়ে কোচ পাভেল নামে এক ব্যক্তি জীবন সিংহের একটি প্রেস বিবৃতি পাঠ করেন। তাতে বলা হয়, উত্তরবঙ্গের সাতটি জেলার পাশাপাশি বিহারের দু’টি আর অসমের চোদ্দোটি জেলা, মেঘালয়ের গারো পাহাড়, বাংলাদেশের দিনাজপুর, অবিভক্ত রংপুর, পঞ্চগড় ও নেপালের তিনটি জেলা নিয়ে স্বতন্ত্র কামতাপুর রাষ্ট্র গঠিত হবে।
শনিবার কোচবিহারে সাংবাদিক বৈঠক করে তৃণমূলের সদ্য প্রাক্তন কোচবিহার জেলা সভাপতি তথা এনবিএসটিসির চেয়ারম্যান পার্থপ্রতিম রায় বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করার দাবি জানান। তিনি বলেন, “বিজেপির বেশ কিছু নেতা, মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক স্পষ্ট ভাবে বলেছেন, তাঁরা আলাদা রাজ্য দাবি করেন। উত্তরবঙ্গে উন্নয়ন হয়নি, বঞ্চনা আছে বলে তারা আলাদা রাজ্যের দাবি করছে বলে বলছেন। তাহলে বিজেপি নেতৃত্ব কি এখন বলবেন, অসম আর বিহারের অংশগুলিতেও উন্নয়ন হয়নি বলে, কেন্দ্র তীব্র বঞ্চনা করেছে বলে, কেউ এ ধরনের দাবি করছে?’’ তাঁর সংযোজন, ‘‘কেএলও নিয়ে ওঁদের অবস্থান স্পষ্ট করার সময় এসেছে। আমরা বঙ্গভঙ্গ চাই না। আলাদা রাষ্ট্রের প্রশ্নই ওঠে না।”
বিজেপি নেতৃত্ব সব অভিযোগ উড়িয়ে দিচ্ছেন। বিজেপির কোচবিহার দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে বলেন, “বিজেপি বাংলা ভাগ চায় না। তবে উত্তরবঙ্গ বঞ্চিত। উন্নয়ন হয়নি। তা ছাড়া কোন সংগঠনের নামে কী বলা হচ্ছে, তার সঙ্গে বিজেপিকে জড়িয়ে বক্তব্য রাখার বিষয়টিও পুরো অর্থহীন।’’ তাঁর দাবি, ‘‘বিজেপি সব সময় দেশের ঐক্য ও অখণ্ডতার জন্য লড়াই করছে। তৃণমূলের অপপ্রচারে লাভ হবে না।” কোচবিহার জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “উত্তরবঙ্গ দীর্ঘ দিন বঞ্চিত। তাই মানুষ আওয়াজ তুলছেন। আমাদের প্রথম দাবি উত্তরে বেকারদের কর্মসংস্থান করার। বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আলাদা রাষ্ট্রের দাবি বিজেপি কোনও দিন সমর্থনকরেনি। করবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy