মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে জেলার সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়করা সবাই ডাক পেলেও বাদ কেবল কংগ্রেস বিধায়ক সুখবিলাস বর্মা৷ আর যার জেরে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে ফের একবার সংকীর্ণ রাজনীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন বিরোধীরা৷
আজ, সোমবার জলপাইগুড়ি আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ মঙ্গলবার দুপুরে আর্ট গ্যালারিতে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন তিনি৷ যে বৈঠকে জেলার প্রশাসনিক কর্তা, সমস্ত দফতরের আধিকারিকদের পাশাপাশি আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়কদেরও৷ সেখানে সুখবিলাসবাবুকে না ডাকায় কংগ্রেসের সঙ্গে ক্ষুব্ধ বামেরাও। জেলা কংগ্রেস সভাপতি নির্মল ঘোষ দস্তিদারের দাবি, মুখ্যমন্ত্রী যেখানে প্রশাসনিক বৈঠক করবেন সেই আর্ট গ্যালারি যে বিধানসভা কেন্দ্রে অবস্থিত, তার বিধায়ক সুখবিলাস বর্মাকেই আমন্ত্রণ জানান হল না৷ তাঁর কথায়, ‘‘এটা সংকীর্ণ রাজনীতি ছাড়া আর কিছুই না৷’’ সিপিএম নেতা জীতেন দাসের দাবি, স্থানীয় বিধায়ক হিসাবে প্রশাসনিক বৈঠকে সুখবিলাসবাবুকে আমন্ত্রণ জানানো অবশ্যই উচিত ছিল৷ তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু যিনি ওই বৈঠকের মাথা, তিনি তো আবার নিয়ম-নীতি, আইন-কানুন কিছুই মানেন না৷ ফলে তার থেকে আর কী বা প্রত্যাশা করা যায়?’’
সুখবিলাসবাবুর কাছেও অবশ্য বিষয়টি অপ্রত্যাশিত নয়৷ তাঁর কথায়, মুখ্যমন্ত্রীর যে জেলাতেই যান না কেন, বেছে বেছে তো শুধু শাসকদলের জনপ্রতিনিধিদেরই ডাকেন৷ বছরের পর বছর ধরে তো সেটাই চলছে৷ এ নিয়ে অনেক বিতর্কও হয়েছে৷ তিনি বলেন, ‘‘কিন্তু কারও যদি কান কাটা থাকে, তিনি তা শুনবেন কী করে৷’’
যদিও জেলা তৃণমূল সভাপতি সৌরভ চক্রবর্তী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রশাসনিক বৈঠকে কে থাকবে বা না থাকবে, তা প্রশাসনই ঠিক করে৷ এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই৷ তিনি বলেন, ‘‘প্রশাসনের কর্তারাই এর উত্তর দিতে পারবেন৷’’
তবে জলপাইগুড়ির জেলা প্রশাসনের কর্তারা অবশ্য বিষয়টি নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy