পঞ্চায়েত ভোটের আগে গ্রামাঞ্চলে জনসংযোগ বাড়াতে আসরে নেমেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা কংগ্রেস। বাড়ি বাড়ি ঘুরে ১০ টাকা এবং চাল সংগ্রহ করে অঞ্চল সম্মেলনের খরচ তুলছে জেলা সংগঠন। সাধারণ গ্রামবাসীদের দেওয়া ওই টাকাতেই ৬ ও ৭ জানুয়ারি জেলার ৬৫টি গ্রাম পঞ্চায়েতে অঞ্চল সম্মেলন করবে কংগ্রেস। দলের নেতৃত্বের একাংশের দাবি, জেলায় বামপন্থীরা দিশাহীন। তাদেরই সংস্কৃতি হাইজ্যাক করে ইতিমধ্যে ভালো সাড়া মিলছে বলে কংগ্রেস শিবিরের দাবি।
জেলা কংগ্রেস সভাপতি নীলাঞ্জন রায় বলেন, ‘‘ওই কর্মসূচির মাধ্যমে একদিকে গ্রামের সমস্ত মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরির সুযোগ ঘটছে। অন্যদিকে অঞ্চল সম্মেলনের মধ্যে দিয়ে পঞ্চায়েতে ভোটের আগে দলীয় কর্মীদের সক্রিয় হয়ে ওঠার পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।’’ ইতিমধ্যে হরিরামপুরের সৈয়দপুর অঞ্চলে ৫০০র বেশি কংগ্রস কর্মী বাড়ি বাড়ি ঘুরে সম্মেলনের রসদ সংগ্রহে ঝাঁপিয়েছেন বলে তাঁর দাবি। মঙ্গলবার হিলি ব্লকে কংগ্রেস কর্মীরা বা়ড়ি বাড়ি ঘুরে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে নীলাঞ্জনের দাবি।
এ দিকে এই জেলায় তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর অঞ্চল কমিটি তৈরি নিয়ে কোন্দল ক্রমশ বাড়ছে। দু’দিন আগে তপন ব্লকের ১১টি অঞ্চলে, মন্ত্রী বাচ্চু হাঁসদার অনুগামী হিসেবে পরিচিত অঞ্চল সভাপতিদের সরিয়ে দলের জেলা সভাপতি বিপ্লব মিত্র আগের অঞ্চল সভাপতিদের বহাল রেখেছেন। ফলে পাল্টা সভা করে বাচ্চুবাবু ফের নিজের অনুগামীদের অঞ্চল সভাপতি পদে বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। এ দিন তপনের আউটিনা অঞ্চলে কর্মী বৈঠক করে বাচ্চুবাবু ওই বার্তা দিয়েছেন। পাশাপাশি বিজেপিও এই জেলায় নিজেদের মতো করে গ্রাম বৈঠক সভা করছে। তবে সাংগঠনিকভাবে এখনও তারা পিছিয়ে বলে দলেরই একাংশ স্বীকার করেন। বাকি থাকলো জেলার দুই বামপন্থী সংগঠন সিপিএম এবং আরএসপি। ক্ষমতা থেকে যাওয়ার পরে এখনও পর্যন্ত ওই দুই দলের কোনও কর্মসূচি বা আন্দোলন জেলায় দেখা যায়নি বলে অভিযোগ।
জেলার রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে গত বিধানসভা ভোটে বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস যথাক্রমে হরিরামপুর ও গঙ্গারামপুর দু’টি বিধানসভা আসন জিতে নেয়। আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের আগেও শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফের মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই সুযোগকে কাজে লাগাতে অপেক্ষাকৃত দুর্বল সাংগঠনিক পরিস্হিতি নিয়ে ঘুরে দাঁড়াতে ততপরতা শুরু করেছে কংগ্রেস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy