E-Paper

প্রশাসনিক জটিলতার কারণে বারবার বিপাকে ঠিকাকর্মীরা

এই প্রথম বার নয়, এর আগেও একই কারণে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ঠিকা শ্রমিকদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তখনও আগে নিয়োগ হয়ে যাওয়া কর্মীদের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল।

শান্তশ্রী মজুমদার

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫ ০৯:১২
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল।

দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা হাসপাতাল। ছবি: সংগৃহীত।

বালুরঘাট হাসপাতালে ঠিকাদার নিযুক্ত শ্রমিকদের ধর্মঘটের পিছনে রয়েছে ঠিকাদারের বিল ঠিক সময়ে না পাওয়ার ঘটনা। আর তা নিয়ে বারবার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে রোগী এবং রোগীর পরিবারকে। আপাতত সমস্যা মিটলেও আগে যে লোক নিয়োগ হয়েছিল তার অনেকগুলি ক্ষেত্রে অনুমোদন নেই বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। তার জন্যই বারবার বিল আটকাচ্ছে ট্রেজারি। যদিও, এ ক্ষেত্রে মূল গাফিলতি জেলা স্বাস্থ্য দফতরের ছিল বলে জানতে পেরেছেন প্রশাসনিক আধিকারিকেরা। সমস্যা সমাধানের জন্য সাত দিনের সময় কর্মীদের থেকে চাওয়া হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সাত দিনে আদৌ এই সমস্যা মিটবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে।

এই প্রথম বার নয়, এর আগেও একই কারণে ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ঠিকা শ্রমিকদের। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, তখনও আগে নিয়োগ হয়ে যাওয়া কর্মীদের জন্য অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল। তা স্বাস্থ্য দফতর থেকে মেলেনি বলে দাবি। জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বারও জেলা স্বাস্থ্য দফতর আগে নিয়োগ হওয়া কিছু কর্মীর জন্য অনুমোদন চেয়ে পাঠাচ্ছে। পুরনো নিয়োগের ক্ষেত্রে কি অনুমোদন মিলবে আদৌ? জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুদীপ দাস বলেন, ‘‘আমি সেই সময় পদে ছিলাম না। পুরনো কিছু নিয়োগের অনুমোদন চেয়ে পাঠিয়েছি।’’ জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, নতুন করে টেন্ডার করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। যদিও, তা অনেক আগেই নেওয়া উচিত ছিল বলেই প্রশাসন সূত্রে দাবি করা হয়েছে।

জেলার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে বেশির ভাগ ঠিকা একটি ঠিকাদার গোষ্ঠীর মধ্যেই ঘোরাফেরা করছে বলে প্রশাসন সূত্রে দাবি। সেই কারণে বিল আটকে গেলেই কর্মীরা একযোগে আন্দোলনে নেমে পড়ছেন। পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বসে যাচ্ছে। বাড়ছে রোগী এবং রোগীর পরিবারের চরম ভোগান্তি, ‘রেফার’। তার পরে কিছু মাসের বিল ছাড়া হচ্ছে, আবার আটকে যাচ্ছে। যদি অনুমোদন না থাকে তাহলে বিল ছাড়া হচ্ছে কী ভাবে? যদি ছাড়াই হয়, তবে বারবার কেনই বা তা আটকানো হচ্ছে? এ ব্যাপারে ঠিকাদার সংস্থার কর্তাদের ফোন এবং ওয়টস্যাপ করে জবাব মেলেনি। জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ বলেন, ‘‘এই সমস্যা কিছু প্রশাসনিক জটিলতা। হয়েছে। তা কীভাবে মেটানো যায় সে চেষ্টা চলছে।’’

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Balurghat Hospital

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy