Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪
jalpaiguri

নব্যেরা ‘আশাহত’

কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক জনপ্রতিনিধির কথায়, “তা হলে বিজেপি কি এখনও আমাদের আপন করে নিতে পারেনি?’’

প্রতীকী ছবি

অনির্বাণ রায়
জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ ০৫:৪৪
Share: Save:

রথযাত্রার আয়োজনে বৈঠক ডেকেছে বিজেপি। বৈঠকের কথা জানিয়ে ছাপানো বিবৃতিতে উপস্থিতির তালিকায় উল্লেখও করা হয়েছে জেলা কমিটির তামাম পদাধিকারীর নাম। শেষে লেখা হয়েছে, ‘অন্য দল থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্ব।’ তা নিয়েই দলের অন্দরে শুরু হয়েছে বির্তক। ফের বিজেপিতে উস্কে উঠেছে ‘আদি-নব্য’ বিরোধ।

কিছুদিন আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেওয়া এক জনপ্রতিনিধির কথায়, “তা হলে বিজেপি কি এখনও আমাদের আপন করে নিতে পারেনি? এখনও অন্য দল থেকে আসা তকমা দিয়ে দূরে সরিয়ে রাখা হচ্ছে?” বিজেপির জেলা নেতৃত্বের একাংশের দাবি, ‘অন্য দল থেকে আসা’ কথাটির মধ্যে কোথাও কোনও ভুল নেই, কাউকে দূরে সরানোও হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, অন্য দল থেকে যোগ দিয়েছেন, কিন্তু বিজেপিতে এখনও পদ পাননি এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রয়েছেন। তাঁদেরকেও বৈঠকে ডাকা হয়েছে, তা বোঝাতেই ‘অন্য দল থেকে আসা’ কথাটি ব্যবহার করা হয়েছে বলে দাবি।

যদিও নব্য বিজেপি নেতাদের অনেকেই এই বিবৃতিতে মনে ‘আঘাত’ লেগেছে বলে দাবি করেছেন। বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন জলপাইগুড়ি্ সদরের তৃণমূলের এক প্রাক্তন প্রধান। বিজেপির জেলা কমিটিতে তাঁর ঠাঁই হয়নি। তিনি বলেন, “দলে যোগ দেওয়ার পরে নেতারা যে বৈঠকে ডেকেছেন, গিয়েছি। যা করতে বলেছেন করেছি। নবান্নে বাড়িতে পুজো ফেলে দলের বুথের সভা করেছি। তার পরেও ‘অন্য দল থেকে আসা নেতা’ বলে আমাকে ভাবা হলে দুঃখ তো পাবই, আশাহতও হলাম।” বিজেপিতে ‘আদি-নব্য’ দ্বন্দ্ব নতুন কিছু নয়। লোকসভা ভোটের পরেএই দ্বন্দ্বে বিজেপির জেলা পার্টি অফিসেই তুমুল বিক্ষোভ হয়েছে। বিজেপি জেলা নেতাদের বাড়িতেও বিক্ষোভ হয়েছে। সম্প্রতি রাজগঞ্জে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে সামনে পেয়ে দলের কর্মীরা রাগ উগরে দেন। এই পরিস্থিতিতে রাজ্য নেতৃত্ব বিরোধ মেটাতেও উদ্যোগী হয়েছে। সে সময়ে রথযাত্রার আমন্ত্রণ নতুন করে বির্তক উস্কে দিয়েছে।

রথযাত্রা আয়োজনের মূল দায়িত্বে থাকা জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, “দলের কেউ বিতর্ক করছে না। অন্য দল থেকে যাঁরা যোগদান করেছেন তাঁদেরকে আপন করে নিয়েছি, এই বার্তা দিতেই তো সকলকে বৈঠকে ডাকা হয়েছে। দূরে সরিয়ে রাখলে কি কেউ বৈঠকে ডাকে? তৃণমূলের কিছু নেতার কাজ হল, বিজেপিকে বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করা। সেই চেষ্টা সফল হচ্ছে না দেখে ওরা আরও রেগে যাচ্ছে।” জেলা বিজেপির এক নেতার কথায়, “এমনটা না লিখলেও চলত।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি কৃষ্ণকুমার কল্যাণী এ প্রসঙ্গে কটাক্ষ করে বলেন, “শুনেছি, বিজেপির অনেকেই ভাবছেন নিজেদের দলটাই বুঝি দখল হয়ে যাবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

BJP TMC jalpaiguri
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE