প্রতীকী ছবি।
শুক্রবার একসঙ্গে ৭ জন করোনা আক্রান্তের খোঁজ মিলেছিল জেলায়। ৪৮ ঘণ্টার ব্যবধানে রবিবার জেলায় নতুন করে আরও ৯ জন করোনা-রোগীর খোঁজ মিলেছিল। সোমবার জেলায় আরও দু’জনের রিপোর্ট ‘পজ়িটিভ’ এল।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এর মধ্যে মানিকচক ব্লকেই পাঁচ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এক জন কালিয়াচক ২ ব্লকের বাসিন্দা। তা ছাড়া এক জন করে আক্রান্ত হয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর ১, চাঁচল ২ ও রতুয়া ১ ব্লকে। তবে চাঁচল ২ ব্লকের গোয়ালপাড়া গ্রামের আক্রান্ত যুবকের ‘পজ়িটিভ’ রিপোর্ট মিলেছিল মুম্বইয়ের একটি হাসপাতালের পরীক্ষাতেই। এ রাজ্যে ফেরার পরে ১৬ মে ফের তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয়। রবিবার রিপোর্ট পজ়িটিভই আসে। রতুয়া ১ ব্লকের বালুপুর গ্রামের আক্রান্তের রিপোর্ট আসে বর্ধমান জেলা থেকে। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই ব্যক্তি মুম্বই থেকে ফিরে বর্ধমানে নেমেছিলেন। সেখানে তার লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিল। তার পরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। রবিবার বর্ধমান জেলা প্রশাসনের তরফে তাঁর লালারসের নমুনা ‘পজ়িটিভ’ হওয়ার বিষয়টি মালদহ প্রশাসনকে জানানো হয়।
জানা গিয়েছে, রবিবার আক্রান্ত হওয়া সকলেই পরিযায়ী শ্রমিক এবং চার দিন আগে বাসে ও ট্রাকে তাঁরা জেলায় ফেরেন। গৌড়কন্যা বাস টার্মিনাসে তাদের লালারসের নমুনা নেওয়া হয়েছিল। সকলে গৃহবাসেই ছিলেন। আক্রান্তেরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাঁদের খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ। সোমবারে আক্রান্তদের একজনের বাড়ি ইংরেজবাজার ব্লকের বিনোদপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মোবারকপুরে। সব মিলিয়ে মালদহ জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৩৭।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, এখন থেকে উপসর্গহীন আক্রান্ত রোগীদের ভর্তি করা হবে আইসোলেশন সেন্টারে। এ জন্য জেলায় চারটি জ়োন করা হয়েছে। মানিকচক এবং রতুয়া ১ ও ২ ব্লকের উপসর্গহীন পজ়িটিভ রোগীদের রাখা হবে মানিকচক ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলের আইসোলেশন সেন্টারে। কালিয়াচকের তিনটি ব্লকের রোগীদের সুজাপুর পলিটেকনিক কলেজে, চাঁচল ১ ও ২ এবং হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ও ২ ব্লকের উপসর্গহীন পজ়িটিভ রোগীদের রাখা হবে হরিশ্চন্দ্রপুর আইটিআই কলেজে। এ ছাড়া ইংরেজবাজার এবং পুরাতন মালদহ শহর-সহ ইংরেজবাজার, হবিবপুর, বামনগোলা ও গাজল ব্লকের উপসর্গহীন পজ়িটিভ রোগীদের আপাতত জেলা কোভিড হাসপাতালেঈ ভর্তি করা হবে।
জেলা পরিষদের সভাধিপতি গৌরচন্দ্র মণ্ডল বলেন, ‘‘চিকিৎসার সুবিধার জন্য করোনার উপসর্গহীন আক্রান্ত রোগীদের আইসোলেশন সেন্টারগুলোতে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভূষণ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘রবিবার আক্রান্ত হওয়া ন’জনের মধ্যে আটজনকেই বিভিন্ন আইসোলেশন সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। এক জনের চিকিৎসা চলছে জেলা কোভিড হাসপাতালে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy