দিল্লির এমস থেকে ফেরা কিডনি রোগীর ফের একবার করোনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নিল আলিপুরদুয়ার জেলা স্বাস্থ্য দফতর। তপসিখাতায় করোনার সারি হাসপাতালে ভর্তি ওই রোগীর লালারসের নমুনা শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। রবিবার রাতেই সেই পরীক্ষার রিপোর্ট আসার কথা। এই কিডনি রোগীর সঙ্গে দিল্লি থেকে ফেরা চারজনের শরীরে তিনদিন আগে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়ে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, কিডনির চিকিৎসা করাতেই এই রোগী দিল্লির এমস হাসপাতালে গিয়েছিলেন। গত সোমবার একটি অ্যাম্বুল্যান্সে করে আরও চারজনের সঙ্গে তিনি আলিপুরদুয়ারে ফেরেন। ওইদিন তাঁদের বারবিশার কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখা হয়। মঙ্গলবার, কিডনি রোগী তাঁর বাবার সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে আসেন। সেখানে তিনি আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি হন। দিল্লি থেকে তাঁদের সঙ্গে ফেরা বাকি তিনজন বারবিশার কোয়রান্টিন সেন্টারেই থেকে যান। কিন্তু বৃহস্পতিবার করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট আসার পর দেখা যায়, কিডনি রোগীর বাবা ও বারবিশার কোয়রান্টিন সেন্টারে থাকা তিনজন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত।
এর পরই আক্রান্ত চারজনকে শিলিগুড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসায়, কিডনি রোগীকে তপসিখাতায় সারি হাসপাতালে পাঠান হয়। বর্তমানে সেখানেই তাঁর চিকিৎসা চলছে।
কিন্তু স্বাস্থ্য কর্তারা জানিয়েছেন, ওই কিডনি রোগী যেহেতু করোনায় আক্রান্ত বাকিদের সংস্পর্শে ছিলেন, সেজন্য ফের একবার তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জেলার এক স্বাস্থ্য কর্তা বলেন, দ্বিতীয় দফায় তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার পর রিপোর্ট যদি নেগেটিভ আসে, তা হলে গাইডলাইন মেনে দিনকয়েকের মধ্যে তৃতীয়বারের জন্য তাঁর ফের করোনার পরীক্ষা হবে। অন্য দিকে, শিলিগুড়ির করোনা হাসপাতালে ভর্তি থাকা আলিপুরদুয়ারের চার করোনা আক্রান্তের অবস্থা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে এ দিন স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানান হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার থেকে বৃহস্পতিবার করোনার রিপোর্ট আসা পর্যন্ত ওই কিডনি রোগী আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। সেই কারণে আপাতত ওই ওয়ার্ডটি বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা। ফের কবে ওই ওয়ার্ড চালু হবে তা নিয়ে এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের থেকে স্পষ্ট কোনও উত্তর মেলেনি।