প্রতীকী ছবি।
রবিবার থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত শিলিগুড়ির কাওয়াখালির সিভিয়ার অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ইনফেকশন (সারি) কেন্দ্রে করোনা সন্দেহভাজন হিসেবে ভর্তি চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের লালারস পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়ায় সোমবার দিনভর তা নিয়ে চিন্তা বাড়তে থাকে। এ দিন সন্ধ্যার দিকে রিপোর্ট এলে জানা যায় তাঁদের কারও করোনা সংক্রমণ ছিল না। তাতে নিশ্চিন্ত হন সকলে। রাতেই সংশ্লিষ্ট পরিবারের হাতে দেহ তুলে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে জানানো হয়।
সারি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের লালারসের পরীক্ষার রিপোর্ট আসতে দেরি হওয়া নিয়ে অভিযোগ উঠছে। দেরির কারণে এই হাসপাতালে রোগীর চাপ বাড়ছে বলে অভিযোগ। রিপোর্ট নেগেটিভ এলে রোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। রিপোর্ট পেতে এক-দু’দিন সময় লাগায় ওই সময় ভিড় বাড়ছে। দ্রুত পরীক্ষা করা গেলে আগেই ছেড়ে দেওয়া সম্ভব হতো বলে স্বাস্থ্যকর্মীদের একাংশের দাবি। সেক্ষেত্রে কারও মৃত্যু হলে যে উৎকণ্ঠা তৈরি হয় তা হতো না বলেও তাঁদের দাবি। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের টিবি ল্যাবরেটরি সারিতে ভর্তি হওযা রোগীদের চটজলদি লালারসের পরীক্ষার আলাদা ব্যবস্থা হতে চলেছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। তা এখনও চালু না-হওয়ায় দুর্ভোগ চলছেই।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদের মধ্যে একজন শিলিগুড়ির ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সুকান্তপল্লি এবং অপর জন ১ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ অম্বেডকর কলোনির বাসিন্দা মহিলা। বাকি দু’জনের একজন ইসলামপুরের বাসিন্দা, তাঁকে শুক্রবার সন্ধেয় ভর্তি করানো হয়। অপর জনকে রবিবার রাতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল থেকে রেফার করে সারি কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। তিনি মেটেলির একটি চা বাগানের বাসিন্দা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy